২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

'মোবাইল সেবায় কর ভারতে ১৫%, পাকিস্তানে ১৭%, দেশে ৩৩%'

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মোবাইল সেবায় প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের মধ্যে কর এখন বাংলাদেশেই বেশি। আফগানিস্তানে মোবাইল সেবা গ্রাহকের ওপর কর ১২ শতাংশ। ভারতে ১৫, পাকিস্তানে ১৭ ও শ্রীলঙ্কায় ২৩ শতাংশ। বাংলাদেশে নতুন বাজেটে সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে করভার ৩৩ শতাংশ করা হয়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটর্স অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মোবাইল অপারেটর রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি কর্মকর্তা সাহেদ আলম। তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারিকালে কেন মোবাইল সেবায় কর আরও বাড়ানো হলো, তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।’

অ্যামটব বলছে, মোবাইল সেবায় নতুন করে ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় সাধারণ মানুষ ব্যবহার কমিয়ে খরচ কমাবে। এতে সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের যে বাজেট উত্থাপন করেছেন, তাতে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন। আজ মঙ্গলবার এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যামটব।

অ্যামটবের মহাসচিব এস এম ফরহাদ একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে মোবাইলে কথা বলা ও খুদে বার্তা পাঠানোয় মোট করভার দাঁড়াল ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। ইন্টারনেটে দাঁড়াল ২১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

এর মানে হলো, এখন থেকে ১০০ টাকা রিচার্জে কথা বলা ও খুদে বার্তায় সরকারের ঘরে যাবে ২৫ টাকার মতো, যা আগের চেয়ে তিন টাকা বেশি। ইন্টারনেটে সরকার পাবে ১৮ টাকার মতো।

এস এম ফরহাদ বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি এ কর কমানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে একটি চিঠি দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়েরও এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে।

অনুষ্ঠানে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা ও বাংলালিংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা জানান, বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণার পর মধ্যরাত থেকে নতুন করকাঠামো কার্যকর করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কলচার্জ ও ইন্টারনেটের দাম বাড়ানো হয়েছে।

গ্রামীণফোনের পরিচালক ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত বলেন, ‘আইন অনুযায়ী আমরা নতুন করকাঠামো কার্যকর করেছি।’

রবির সাহেদ আলম বলেন, সরকার কর বাড়িয়ে স্বল্পমেয়াদি লাভ চাচ্ছে। কিন্তু এটা না বাড়ালে বেশি সুফল পাওয়া যেত। মানুষ বাড়তি ব্যয় করত, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ত। এতে পরোক্ষভাবে সরকারের রাজস্ব বাড়ত।

বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, বাংলালিংকের মালিক প্রতিষ্ঠান ভিওনের ১৫টি দেশে ব্যবসা রয়েছে। এ দেশে উচ্চ করের কারণে তাদের মালিকপক্ষ অন্য দেশে বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মার্চে সাধারণ ছুটির পর ৪০ শতাংশ গ্রাহক শহরের বাইরে গেছেন। রবি বলছে, তাদের ১০ শতাংশ গ্রাহক এখনো শহরে ফেরেননি।