দুরন্তগতিতে ছুটে চলা
আন্তর্জাতিক মানের তথ্যপদ্ধতি তথা ফরমায়েশি সফটওয়্যার সরবরাহের মাধ্যমে এক যুগ ধরে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি তথা গোটা শিল্প খাতে অবদান রাখছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান স্যুবরা সিস্টেমস লিমিটেড। ২০০৮ সালে তরুণ উদ্যোক্তা মোহাম্মদ শফিউল আজমের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় স্যুবরার। ২০০০ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পড়াশোনা শেষ করে এই খাতে প্রতিষ্ঠান তৈরির স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ লক্ষ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং বা ইআরপি সফটওয়্যার উন্নয়নের মাধ্যমে কাজ শুরু করে স্যুবরা।
স্যুবরা থেকে ২০০৯ সালে তৈরি করা হয় ক্যাপিটাল মার্কেটের ব্যাক অফিস সলিউশন। ব্যাংক ও সিকিউরিটিজ লিমিটেডে ব্যবহার করা হয় সে সফটওয়্যার। এরপর আর ফিরে দেখতে হয়নি। একে একে সফলভাবে ৩৭টি সফটওয়্যার তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। স্যুবরার উল্লেখযোগ্য সেবার মধ্যে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদনপ্রাপ্ত ভ্যাট সফটওয়্যার, অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার, ইনভেনটরি ম্যানেজমেন্ট, এইচ আর অ্যান্ড পেরোল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ফান্ড, এন্টারপ্রাইজ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, ডায়াগনস্টিক ম্যানেজমেন্ট, এলসি ম্যানেজমেন্ট, গার্মেন্টস প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট, লেদার গুডস প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট, বুককিপিং সলিউশন, ক্লাব ম্যানেজমেন্ট, কিউ ম্যানেজমেন্ট, সেন্ট্রাল কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, বায়োমেট্রিক সলিউশন। বর্তমানে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে জাপান, ইংল্যান্ড, সৌদি আরব এবং কানাডায় সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে স্যুবরা। শিগগিরই মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রেও সেবা দেবে তারা। সাতজন কর্মী নিয়ে শুরু করা স্যুবরাতে বর্তমানে ৬৫ জন কর্মী রয়েছেন।
স্যুবরা সিস্টেমস লিমিটেড ২০১৪ সালের জুন মাসে বিজনেস প্রসেস অ্যানালাইসিস এবং করপোরেট গভর্নেন্সের ওপর গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নতুন করে লক্ষ্য নির্ধারণ করে। গবেষণার কাজে সংযুক্ত হন নাজমুল হোসেন সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর কবির, সাইফুল্লাহ আল আজাদ, মামুন সিরাজুল মাজিদ এবং মাসুম রানা। এ ছাড়া প্রশাসনিক কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন সুমন চৌধুরী এবং কাজী হানিফ।
২০১৮ সালে গাজীপুরে ১১ বিঘা জমিতে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য আর অ্যান্ড ডি সিটির কাজ শুরু করেছে স্যুবরা।