শেয়ারবাজার পতনে পতনে জেরবার
শেয়ারবাজারে আবার বড় দরপতন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে লেনদেন শেষে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৮৭ পয়েন্ট। নেমে এসেছে ৪ হাজার ৩৬ পয়েন্টে। এর ফলে ভিত্তি পয়েন্টের নিচে নেমে গেল সূচকটি।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৭৫ পয়েন্ট।
২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ডিএসইএক্স ও ডিএস৩০ সূচক চালু হয়। ওই সময় ডিএসইএক্স সূচকের ভিত্তি পয়েন্ট ছিল ৪ হাজার ৫৫ পয়েন্ট। আর ডিএস৩০ ছিল ১ হাজার ৪৬০ পয়েন্ট।
গতকাল সোমবার লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচকটি ৮৮ পয়েন্ট কমে নেমে আসে ৫৬ মাস আগের অবস্থানে। তবে সূচক প্রায় ৫ বছরের কম হলেও অধিকাংশ শেয়ারের দাম ৯ বছর আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। গতকাল লেনদেন শেষে সূচকটির অবস্থান হয় ৪ হাজার ১২৩ পয়েন্ট। আজ আবারও ৮৭টি পয়েন্ট কমল সূচকটি।
গত এক বছরের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে এক লাখ কোটি টাকা। গত বছরের ১৪ জানুয়ারি ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ১৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। আর আজ দিন শেষে তা নেমে এসেছে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকায়।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতাই পতনের মূল কারণ। সরকারের নানা আশ্বাসে ভরসা পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারবাজার ভালো হবে, হচ্ছে—এমন প্রতিশ্রুতি শুনে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী বাজারে বিনিয়োগ করে এখন প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন।
ডিএসইতে গতকালের তুলনায় আজ মোট লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। গতকাল মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৮৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আজ লেনদেন হয়েছে ২৬২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৩২টির, কমেছে ২৯৩টির এবং দর অপরিবর্তিত আছে ৩০টির।
ডিএসইতে আজ লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, বিকন ফার্মা, এডিএন টেলিকম লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মা, রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড, ড্যাফোডিল কম্পিউটারস লিমিটেড ও গ্রামীণফোন।
অপর দিকে সিএসইতে হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ২১টির, কমেছে ২০৩টির এবং দর অপরিবর্তিত আছে ২০টির।