হালট্রিপ ছাড়ছে উড়োজাহাজ কোম্পানিগুলো
অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি হাল ট্রাভেলের (হালট্রিপ) সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করছে দেশি-বিদেশি উড়োজাহাজ কোম্পানিগুলো। এর ফলে কোনো উড়োজাহাজ কোম্পানির টিকিট বিক্রি করতে পারবে না হালট্রিপ। উড়োজাহাজ কোম্পানিগুলো সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
হালট্রিপের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার হালদার সাড়ে তিন হাজার কোটি হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছেন। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাজবীর হাসানও দেশে নেই।
এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্টদের কাছে পাঠানো চিঠিতে তাজবীর হাসান লিখেছেন,'সৃষ্ট জটিল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি। হালট্রিপের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ৭-৮ হাজার পরিবারের সদস্য আর সম্পর্ক। আশা করছি, আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে চলমান সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। আমাদের অফিসের প্রতিটি কর্মী পরিস্থিতি সামলে নিতে অবিরাম কাজ করছেন। বিশ্বস্ত আর ভালো প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা সব ভুলে নতুন প্রত্যয়ে,নতুন উদ্যমে কাজ করতে প্রত্যয়ী। এমন পরিস্থিতি আমাদের জন্য অনভিপ্রেত, অপ্রত্যাশিত।'
হালট্রিপ মূলত অনলাইনে মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করে। ট্রাভেল এজেন্টরা হালট্রিপ থেকে টিকিট কিনতে পারে। কোনো ব্যক্তির কাছে টিকিট বিক্রি করে না হালট্রিপ।
সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা করা হালট্রিপের ৯০ শতাংশ শেয়ার পিকে হালদারের। বাকিটা তাজবীর হাসানের। বেশি ছাড়ে টিকিট বিক্রি করে হালট্রিপ পুরো পর্যটন খাতে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি টাকা পাচারেও জড়িয়ে পড়েছিল বলে জানা যায়। কারণ তিন বছরে ৪০০ কোটি টাকা জমা হয়েছে হালট্রিপের ১০টি ব্যাংকের হিসাবে।
এসব নিয়ে কথা বলার জন্য হালট্রিপের কাউকে পাওয়া যায়নি।