ছোট ফ্ল্যাটে ঝুঁকছে আবাসন প্রতিষ্ঠান
মধ্যম আয়ের মানুষ ছোট আকারের ফ্ল্যাট খোঁজেন। বাজারে চাহিদা থাকায় আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের ফ্ল্যাট নির্মাণে ঝুঁকছে। এবারের রিহ্যাব মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ও মাঝারি আকারের ফ্ল্যাটের পাশাপাশি ছোট আকারের ফ্ল্যাটও ক্রেতাদের সামনে নিয়ে আসছে।
রিহ্যাবের আবাসন মেলায় কমপ্রিহেনসিভ হোল্ডিংস ঢাকার ভেতরে ৪৪ প্রকল্পের ৭২০টি ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য আনছে। তার মধ্যে উমেশ দত্ত রোডে ৮৫০ থেকে ১৬৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট আছে ১৪টি। এ ছাড়া কাঁঠালবাগানে ১২০০ বর্গফুটের ৩২টি, ধানমন্ডির শংকর এলাকায় ১১৯০ বর্গফুটের ১২টি, লালমাটিয়ায় ১২৫০ থেকে ২৭৪০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ১৩৯টি, জিগাতলায় ১২০০ থেকে ১৫৫০ বর্গফুটের ১৮টি, বসুন্ধরায় দুটি প্রকল্পে ১৫১০ থেকে ১৯৭০ বর্গফুটের ৫৪টি, মালিবাগে ১৪৬৫ থেকে ১৫০০ বর্গফুটের ১৮টি ফ্ল্যাট আছে।
লালমাটিয়ায় ক্রিডেন্স হাউজিং লিমিটেডের ৯টি প্রকল্পে ১৪৫০ থেকে ৪১৩০ বর্গফুটের ৫৪টি ফ্ল্যাট আছে। এ ছাড়া গ্রিন রোডে একটি প্রকল্পে ১৩৫০ থেকে ১৮০০ বর্গফুটের ৭টি, উত্তরায় চারটি প্রকল্পে ৯৬০ থেকে ১৯২০ বর্গফুটের ১৭টি, কলাবাগানে চার প্রকল্পে ১৬৭৫ বর্গফুটের ৩৩টি ফ্ল্যাট আছে তাদের। সব মিলিয়ে ২৯ প্রকল্পের ১৬৫ ফ্ল্যাট রিহ্যাব মেলায় বিক্রির জন্য ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরবে ক্রিডেন্স হাউজিং।
কনকর্ড ফ্ল্যাটের পাশাপাশি কমার্শিয়াল স্পেস ও রিসোর্টও বিক্রির জন্য ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরবে মেলায়। তাদের ১৫ প্রকল্পে আছে ৪৭টি ফ্ল্যাট। তার মধ্যে রমনায় ১৭৫০ থেকে ১৭৯০ বর্গফুটের ৭টি, বনানীতে ২৩২০ থেকে ২৪৭৫ বর্গফুটের ৬টি, বারিধারায় ২৪০০ থেকে ৪৬০০ বর্গফুটের ৫টি ফ্ল্যাট আছে।
গুলশান–২–এর শামস ট্রপিক্যাল প্যারাডাইস ও বনশ্রীর হায়দার অমরাপুরীসহ বেশ কিছু প্রকল্পে ফ্ল্যাট নিয়ে মেলায় আসছে ট্রপিক্যাল হোমস। শামস ট্রপিক্যাল প্যারাডাইসে ফ্ল্যাটের সংখ্যা ২৬টি। ফ্ল্যাটের আকার ৩৭৫০ থেকে ৩৮৫০ বর্গফুট। প্রকল্পে ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল, বাচ্চাদের খেলার জায়গা ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা আছে।
সানমার প্রপার্টিজ লিমিটেড বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সানমার আরশাদ পার্ক ও সানমার আরাস প্যালেস প্রকল্পের ৪৭টি ফ্ল্যাট নিয়ে আসছে মেলায়। ফ্ল্যাটের আকার ১৭৩০ থেকে ৩৬৬০ বর্গফুট।
রিহ্যাবের আবাসন মেলায় র্যাংগস প্রপার্টিজ মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় প্রায় তিন বিঘা জমির ওপর মেঘছায়া প্রকল্পের ফ্ল্যাট বিক্রি করবে। সেখানে ১৪০০ বর্গফুটের ১৫৪টি ফ্ল্যাট আছে। প্রকল্পে খেলার মাঠ, জগিং ট্র্যাকসহ নানা সুবিধা থাকবে। এ ছাড়া বসুন্ধরার কোর্টইয়ার্ড, গুলশানে ডায়োরামা, বনানীর মিরান্ডাসহ বেশ কিছু ফ্ল্যাট প্রকল্প নিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের বাণিজ্যিক প্রকল্পের তালিকায় আছে গুলশানের আর কে স্কয়ার ও ধানমন্ডির এট্রিয়াম।
ফ্ল্যাটের পাশাপাশি মেলায় প্লট নিয়ে আসছে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যে রিচমন্ড ডেভেলপারসের আছে রূপগঞ্জে ৮০০ বিঘা আয়তনের রিচমন্ড কানাডা সিটি প্রকল্প। পাশাপাশি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তাদের তিনটি ফ্ল্যাট প্রকল্প আছে। ফ্ল্যাটের আকার ১৫৫০ থেকে ১৬০০ বর্গফুট। প্রতি বর্গফুটের দাম ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা।
৯ হাজার ৬০০ বিঘা জমিতে প্লটের প্রকল্প আছে পূর্বাচল প্রবাসীপল্লির। ৩, ৫ ও ১০ কাঠা আয়তনের প্লটের প্রতি কাঠার দাম ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। প্রকল্প এলাকায় স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আছে। ইতিমধ্যে ২০০ বিঘা জমি উন্নয়ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হবে ২০২০ সালে।
প্রাইম অ্যাসেট ডেভেলপমেন্ট প্লট প্রকল্পের নাম পূর্বাচল প্রাইম সিটি। ৬ হাজার ৮৩৫ বিঘা জমিতে প্রকল্পটিতে কলেজ, হাসপাতাল, মসজিদ, পোস্ট অফিস, ফিলিং স্টেশন, বিদ্যুৎকেন্দ্র ইত্যাদি থাকবে। প্রকল্পের প্রতি কাঠা জমির দাম ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৫০ শতাংশ জমি বিক্রি হয়েছে।