পেঁয়াজ কেনার ভিড় সামলাতে পুলিশ মোতায়েন
নোয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রধান ফটক। আজ রোববার দুপুর সাড়ে বারোটা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ৪৫ টাকা কেজি দরের এই পেঁয়াজ কিনতে নারী-পুরুষ ক্রেতাদের লম্বা লাইন। এক কেজির বেশি পেঁয়াজ কাউকে দেওয়া হচ্ছে না। তাও পেঁয়াজ বিক্রির খবর শুনে অনেকে দূর থেকে মানুষ আসছেন। উপচে পড়ছে ভিড়। আর এই ভিড় সামলাতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ সদস্য। তাঁরা ক্রেতাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনতে সহায়তা করছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানা গেছে, এখন পর্যন্ত অন্য কোথাও পুলিশ মোতায়েনের ঘটনা ঘটেনি।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিল্পকলা একাডেমির ফটকে একদিন পর পর এ পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে গত সোমবার থেকে। আজ রোববার পর্যন্ত যা অব্যাহত ছিল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, খোলা বাজারে বিক্রির জন্য সরকারিভাবে নোয়াখালীতে পাঁচ টন অর্থাৎ পাঁচ হাজার কেজি পেঁয়াজ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে পাঁচ হাজার ক্রেতার ভাগ্যে জুটবে স্বল্প মূল্যের পেঁয়াজ।
শহরের কৃষ্ণরামপুর এলাকার গৃহিণী ছকিনা বেগম প্রথম আলোকে তিনি বলেন, আধা ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন ৪৫ টাকা দিয়ে। বাজার দর থেকে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কম দামে কিনতে পেরে তিনি খুশি।
আরেক ক্রেতা ইজিবাইক চালক জসিম উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় গত প্রায় এক মাস ধরে তিনি পেঁয়াজ কেনেননি। সরকারিভাবে এখানে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে শুনে এসেছেন এবং এক কেজি পেঁয়াজও কিনেছেন। পেঁয়াজগুলো আকারে একটু বড় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ক্রেতারা জানান, প্রশাসন বিভিন্ন সময় বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করলেও নোয়াখালীর বাজারে এখনো প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা দরে। তবে দেরিতে হলেও প্রশাসনের উদ্যোগে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হওয়ায় তাঁরা খুশি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) তন্ময় দাস প্রথম আলোকে বলেন, সরকারিভাবে বলা আছে জেলা শহরের মধ্যেই বিক্রি সীমাবদ্ধ রাখতে। তবে চৌমুহনী এলাকায় জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় সেখানেও পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে আরও চাহিদার কথা জানানো হয়েছে।