বিশ্বে তুলা ব্যবহারে বাংলাদেশ চতুর্থ
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সারা বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে থাকলেও তুলা ব্যবহারে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। প্রথম তিন শীর্ষ অবস্থানে আছে—চীন, ভারত ও পাকিস্তান।
ইন্টারন্যাশনাল কটন অ্যাডভাইজরি কমিটির তথ্যানুযায়ী, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চীনের পোশাক ও বস্ত্রসহ অন্যান্য খাত ৮৫ লাখ টন তুলা ব্যবহার করেছে। এ ছাড়া ভারত ৫৪ লাখ ২৩ হাজার ও পাকিস্তান ২৩ লাখ ৪৬ হাজার টন তুলা ব্যবহার করেছে। আর বিশ্বে চতুর্থ সর্বোচ্চ বাংলাদেশ ব্যবহার করেছে ১৬ লাখ ৬২ হাজার টন তুলা।
তুলা ব্যবহারে শীর্ষ ১০ দেশের অন্যগুলো হচ্ছে—ভিয়েতনাম ১৫ লাখ ৩০ হাজার, তুরস্ক ১৪ লাখ ৮১ হাজার, ইন্দোনেশিয়া ৭ লাখ ৭৮ হাজার, যুক্তরাষ্ট্র ৭ লাখ ৬৮ হাজার, ব্রাজিল ৬ লাখ ৮০ হাজার এবং উজবেকিস্তান ৪ লাখ ৬৪ হাজার টন।
ব্যবহারের দিকে চতুর্থ অবস্থানে থাকলেও বাংলাদেশ তুলা আমদানিতে দ্বিতীয়। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের (ইউএসডিএ) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে পোশাক রপ্তানির পাশাপাশি তুলা উৎপাদনেও শীর্ষস্থানে আছে চীন। সেই চীনের কাছেই গত অর্থবছর তুলা আমদানির শীর্ষস্থানটি হারায় বাংলাদেশ। অথচ ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত তিনটি অর্থবছর তুলা আমদানিতে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। গত অর্থবছর চীন সর্বোচ্চ ২ কোটি ৭৭ লাখ বেল (৪৮০ পাউন্ড = ১ বেল) উৎপাদনের পাশাপাশি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার বেল তুলা আমদানি করে। তারপরই বাংলাদেশ ৭২ লাখ, ভিয়েতনাম ৭০ লাখ, তুরস্ক ৩৪ লাখ ৯৯ হাজার, ইন্দোনেশিয়া ৩০ লাখ ৫০ হাজার, পাকিস্তান ২৫ লাখ ৫০ হাজার এবং ভারত ১৮ লাখ বেল তুলা আমদানি করেছে।
দেশের বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ জানায়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের মোট আমদানির ৪৯ শতাংশ তুলা ভারত থেকে এসেছিল। তবে গত কয়েক বছরে ভারতের নির্ভরশীলতা কমেছে। গত বছর ২৬ দশমিক ১২ শতাংশ তুলা ভারত থেকে আসে। সবচেয়ে বেশি ৩৭ শতাংশ তুলা পূর্ব ও পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আমদানি হয়। তা ছাড়া কমনওয়েলথভুক্ত বা সিআইএস দেশ থেকে ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়া থেকে ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং বাকি ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি হয়।