দুই-তিন বছর ধরে গ্রাহক বাড়ছে
>কার্ডের গ্রাহক, মূল্যছাড় ও সুদের হার নিয়ে কথা বলেছেন ব্যাংক এশিয়ার হেড অব কার্ডস সাইফুর রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শুভংকর কর্মকার।
প্রথম আলো: ক্রেডিট কার্ডে ব্যাংক এশিয়া কেমন সাড়া পাচ্ছে?
সাইফুর রহমান: ক্রেডিট কার্ডে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে আমরা সব সময়ই গ্রাহকদের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করি। বর্তমানে আমাদের ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকসংখ্যা ৮৩ হাজার। তবে সচল কার্ডের সংখ্যা ৫৫ হাজারের মতো।
প্রথম আলো: ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকসংখ্যা কী হারে বাড়ছে?
সাইফুর রহমান: চাকরিজীবীরাই ক্রেডিট কার্ডের মূল গ্রাহক। পাশাপাশি একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরাও আছেন। এ ছাড়া ব্যাংকার, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী লোকজনও ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক আছেন। দুই-তিন বছর ধরে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক বাড়ছে।
প্রথম আলো: ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকদের জন্য আপনারা কী ধরনের সুবিধা দিচ্ছেন?
সাইফুর রহমান: ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবে আমরা ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের অফার দিয়ে থাকি। যেমন গত পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটায় ৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক সুবিধা দিয়েছিলাম। আবার পবিত্র রমজান মাসে আমরা গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ডে প্রতি হাজার টাকা ব্যয়ে ৫০ টাকা ক্যাশব্যাক দিয়েছিলাম। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ট্রান্সকম, র্যাংগস ও তোশিবার রেফ্রিজারেটর ও টেলিভিশন কেনাকাটায় ৭ শতাংশ মূল্যছাড় পাচ্ছেন গ্রাহকেরা। তা ছাড়া বিনা সুদে ৬-১২ মাসের কিস্তিতে ইলেকট্রনিকস ও মুঠোফোন কেনার সুবিধা তো আছেই। আবার ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকেরা সারা বছরই ঢাকার রেডিসন ব্লু, লা মেরিডিয়ান, ইন্টারকন্টিনেন্টালসহ ১৭ হোটেলে বাফেট লাঞ্চ ও ডিনারে একজনের সঙ্গে আরেকজনের খাবার বিনা মূল্যে পাচ্ছেন। চট্টগ্রামে রেডিসন ব্ল ও পেনিনসুলা হোটেলেও একই সুবিধা আছে।
প্রথম আলো: অনেক গ্রাহকেরই অভিযোগ, ব্যাংকগুলোর ক্রেডিট কার্ডে সুদের হার অত্যধিক। সুদের হার বেশি কেন?
সাইফুর রহমান: ক্রেডিট কার্ড সেবাটির পরিচালনায় খরচ অনেক বেশি। ভিসা ও মাস্টার কার্ডের সেবার জন্য প্রচুর চার্জ দিতে হয়। খেলাপি ঋণও আছে। এসব কারণেই ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার বেশি। তবে গত বছর আমরা ক্রেডিট কার্ডের সুদ ৩০ থেকে কমিয়ে ২৪ শতাংশ করেছি।