২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

হুয়াওয়ের সবচেয়ে বড় সিএসআরে বাংলাদেশ

চীনের শেনজেনে হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয়ে কোম্পানিটির জনসংযোগ পরিচালক ইয়ান লির সঙ্গে সনদ হাতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার তোলা।  ছবি: প্রথম আলো
চীনের শেনজেনে হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয়ে কোম্পানিটির জনসংযোগ পরিচালক ইয়ান লির সঙ্গে সনদ হাতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার তোলা। ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশের তরুণেরা এখন চীনের আকর্ষণ। এ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সম্মাননা দিয়েছে চীনের বিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচারস ২০১৯-এর আওতায় গতকাল শুক্রবার চীনের শেনজেনে অবস্থিত হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয়ে তাঁদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশি তরুণেরা চীনে দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। চীনা আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে হাতেকলমে পরিচিত হয়েছেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের (সিএসআর) অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এই সম্মাননা দেয়।

এটি হুয়াওয়ের সবচেয়ে বড় সিএসআর কর্মসূচি। ২০১৪ সাল থেকেই প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে হুয়াওয়ের এ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাচ্ছেন। এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী হুয়াওয়ের এ প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।

সম্মাননা পাওয়া বাংলাদেশি তরুণদের এ তালিকায় আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১০ জন শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী তাসফিয়া জাহিন নিজের অভিজ্ঞতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে নানা ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এ অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারব। হুয়াওয়ের এ কর্মসূচির মাধ্যমে হাতেকলমে কাজ শিখেছি।’ তিনি আরও বলেন, এখানে এসে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ হয়েছে।

গতকালের অনুষ্ঠানে হুয়াইওয়ের জনসংযোগবিষয়ক পরিচালক ইয়ান লি বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়ার শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা সনদ তুলে দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করব, সে বিষয়ে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। এই খাতটির সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। তবে এই খাতে উচ্চ মানের দক্ষ লোক লাগবে। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের সুবিধা সমাজের সবাই পাবেন।’ আজকে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা নিজ দেশে গিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রূপান্তরে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশি এই মেধাবী শিক্ষার্থীদের ১০ দিনের প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে প্রথমে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে চীনা ভাষার ওপরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে তাঁদের চীনের বাণিজ্যিক নগরী শেনজেনে টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক, আইসিটির মূল প্রযুক্তি, মোবাইল যোগাযোগ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডেটা, ক্লাউড কম্পিউটিং, ইন্টারনেট প্রযুক্তি, ফোর–জি ফাইভ–জি বেজ স্টেশন তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

হুয়াওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এভাবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়াটা তাদের কাছে সবচেয়ে বড় সামাজিক দায়বদ্ধতা। এবার বাংলাদেশের পাশাপাশি ইথিওপিয়ার ১০ জন শিক্ষার্থী এ প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।