ডিএসসিসিতে শুরু হলো পৌরকর মেলা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে প্রথমবারের মতো পৌরকর মেলা শুরু হয়েছে। আগামী ৫ মে পর্যন্ত এই মেলা চলবে। আজ বুধবার দুপুরে এই মেলার উদ্বোধন করেন ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের অধিক্ষেত্র এলাকায় উপকর আরোপ–সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে সেটি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান ডিএসসিসির মেয়র। তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন আইন-২০০৯ অনুযায়ী সিটি করপোরেশন তার এলাকায় সরকারের অর্জিত আয়ের ওপর উপকর আরোপ করতে পারবে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।’
সাঈদ খোকন বলেন, ‘এই আইন বাস্তবায়ন করতে ডিএনসিসির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হককে নিয়ে একাধিকবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়েছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। অথচ সিটি করপোরেশন এলাকায় আদায় করা রাজস্ব থেকে উপকর দেওয়া হলে ডিএসসিসি, ডিএনসিসিসহ দেশের সব সিটি করপোরেশনে আর্থিক ঘাটতি থাকবে না। করপোরেশনগুলোর আর্থিক দুর্দশা কেটে যাবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, নাগরিকদের আরও বেশি সেবা দিতে পারবে।’ তাই অবিলম্বে এই আইন কার্যকর করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, কয়েক বছর আগে ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির আয়তন বেড়েছে। কিন্তু সে পরিমাণ জনবল ও আর্থিক সক্ষমতা বাড়েনি। ফলে সেবার মান সেভাবে বাড়ছে না। এ ছাড়া ডিএসসিসি যে পরিমাণ আয় করে, তার চেয়ে চার গুণ উন্নয়ন ব্যয় হয়। এভাবে সিটি করপোরেশন চলতে পারে না। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে উপকর আইন বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ১০ দিনের মাথায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্নের উপক্রম ছিল। সেই অবস্থা থেকে আজ ডিএসসিসি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আজ নগরী এলইডি বাতিতে আলোকিত। শতকরা ৯৯ ভাগ বাতি জ্বালাতে সক্ষম হয়েছি। ৮৫ ভাগ রাস্তা চলাচলের উপযোগী। জলসবুজে ঢাকা প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠ ও পার্কগুলো বদলে যেতে শুরু করেছে। এভাবে ডিএসসিসি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন করতে পেরেছে।’
অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।