নিয়োগের দাবিতে ১-১২তম নিবন্ধনধারীদের এনটিআরসিএর সামনে অবস্থান কর্মসূচি
১ম থেকে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকৃতদের মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ না করা এবং চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ১-১২তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা।
আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানীর ইস্কাটনে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে এনটিআরসিএ শাটডাউন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এনটিআরসিএ নিবন্ধিত ১-১২তম নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগের এ কর্মসূচি চলছে।
এনটিআরসিএ নিবন্ধিত ১-১২তম নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক আমির আসহাব প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনটিআরসিএ কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগ চক্রে (১ম থেকে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে) আবেদনকৃতদের দিয়ে শূন্যপদ পূরণ না করায় বৈষম্যের শিকার ও সিস্টেম-দুর্নীতিতে নিয়োগ বঞ্চিত ১-১২তম ব্যাচে উত্তীর্ণ নিয়োগযোগ্য নিবন্ধিত শিক্ষকদের ডেটাবেজ পৃথক করে নিয়োগ দিতে হবে। এসব দাবিতে আমাদের কর্মসূচি চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।’
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, এনটিআরসিএতে বছরে একাধিক বার পরীক্ষা নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার প্রার্থী যোগ করা হলেও নির্ধারিত সময়ে (গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে) নিয়োগ সুপারিশ করা হয় না। এমনকি ৫০ হাজার যোগ করা হলেও নতুন নিয়োগ পান এক-পঞ্চমাংশেরও কম। এনটিআরসিএর কৌশলে বারবার নিয়োগ বঞ্চিত একঝাঁক স্নাতক-স্নাতকোত্তর করা বিষয়ভিত্তিক নিবন্ধিত প্রকৃত চাকরিপ্রত্যাশীদের এন্ট্রিলেভেল বয়স বিবেচনা করে বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও স্বেচ্ছাচারিতায় (১ম থেকে ৫ম) গণবিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যের শিকার, নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান করতে হবে।
এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এ বিষয়ে কোনো করণীয় নেই। যদি কোনো কিছু করার থাকে সেটা মন্ত্রণালয় করতে পারবে। মন্ত্রণালয় নির্দেশনা না দিলে আমাদের কিছু করার সুযোগ নেই।’