পিএসসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্নীতি তদন্তে নেমেছে দুদক

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে দুদক। এ জন্য দুদক থেকে পিএসসির সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তথ্য নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে দুদক। পিএসসির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘দুদকের কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, আমরা এতে সহায়তা করছি। যা যা দরকার তা–ই করা হবে। অপরাধ করলে তার সাজা পাক, সে যে কেউ হোক।’

গত ১০ জুলাই পিএসসি থেকে দুদকের সচিব বরাবর তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে মামলার আসামি উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির এবং পিএসসির কর্মচারী ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।

পিএসসির চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ, পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র প্রকাশ এবং বিতরণ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী হিসেবে অপরাধ সংঘটনে জড়িত থাকার অভিযোগে কর্ম কমিশনের ৫ জনসহ অন্যদের আসামি করে পল্টন থানার মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫ জন কর্মচারী গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলে আছেন।

আরও পড়ুন

তা ছাড়া তাঁদের নিজ নামে ও তাঁদের পরিবারের সদস্যের নামে অসৎ উপায়ে অর্জিত ও তাঁদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির দখলে রয়েছেন বা মালিকানা অর্জন করেছেন মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক) সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এভাবে অসৎ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা অর্জন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪–এর তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্তপূর্বক উপযুক্ত আদালতে বিচারার্থে মামলা করার লক্ষ্যে সাক্ষ্য–প্রমাণ সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই এসব অভিযোগ তদন্ত করে কমিশনকে অবহিত করতে অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন

গত ১০ জুলাই বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন।

আরও পড়ুন