সহকারী জজ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদ ১০০
সহকারী জজ নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন (বিজেএসসি) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ষোড়শ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে (১৬শ বিজেএস) এবার নিয়োগ পাবেন ১০০ জন। পদসংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাস পেতে পারে।
বিজেএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আবেদন শুরু। প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন আগামী ৯ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এই পদে নিয়োগ পেলে বেতন স্কেল হবে ৩০,৯৩৫ থেকে ৬৪,৪৩০ টাকা।
কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) অথবা আইন বিষয়ে স্নাতক অথবা কোনো স্বীকৃত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে তিন বছর মেয়াদি স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। তবে শর্ত হলো, ওই ব্যক্তিকে আইন বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ প্রাপ্ত হতে হবে। আইন বিষয়ে স্নাতক অথবা স্নাতক (সম্মান) অথবা ক্ষেত্রমতে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অবতীর্ণ কোনো প্রার্থী আবেদনপত্র দাখিল করতে পারবেন। তবে ওই পরীক্ষা আবেদনপত্র দাখিলের শেষ তারিখে বা তার আগে শেষ হতে হবে।
১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে। বয়সের বিষয়টি গণনা করা হবে এসএসসি/সমমান পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী।
আগ্রহী প্রার্থীদের জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে। অনলাইনে আবেদন করার পর টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধন ফি বাবদ ১২০০ টাকা জমা দিতে হবে। আবেদনের শেষ সময় আগামী ৯ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
পরীক্ষার ধরন ও পাস নম্বর
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
সব প্রার্থীকে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে। ওই পরীক্ষায় মোট ১০০টি এমসিকিউ থাকবে। প্রতিটির মান হবে ১ নম্বর। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা করা হবে। সব প্রার্থীকেই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রাক্-যোগ্যতা হিসেবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এই পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৫০। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সাধারণ বাংলা, সাধারণ ইংরেজি, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়, সাধারণ গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা এবং আইন বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর কোনো প্রার্থীর লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ করা হবে না। এ পরীক্ষা–সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘তথ্য, নির্দেশনা ও বিস্তারিত সিলেবাস’ নামীয় পুস্তিকার প্রথম অধ্যায়ের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে।
লিখিত পরীক্ষা
১৬শ বিজেএস পরীক্ষা, ২০২৩–এ ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যেসব পরীক্ষার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, শুধু তাঁরাই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। গড়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেলে একজন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে গণ্য হবেন। কোনো পরীক্ষার্থী কোনো বিষয়ে ৩০ নম্বরের কম পেলে তিনি লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন।
মৌখিক পরীক্ষা
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ৫০।
শুধু লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ পাবেন। বিজেএস পরীক্ষা একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বিধায় ন্যূনতম পাস নম্বর প্রাপ্তি কমিশন কর্তৃক সুপারিশের নিশ্চয়তা প্রদান করে না।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার কেন্দ্র এবং বিস্তারিত সময়সূচি কমিশনের ওয়েবসাইটসহ দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।