৪০তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপনের কাগজ রাষ্ট্রপতির দপ্তরে

ফাইল ছবি

৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপনটির কাগজপত্র রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দপ্তরে পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তিনি স্বাক্ষর করলে এটি প্রজ্ঞাপন আকারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নব নিয়োগ শাখার যুগ্ম সচিব সায়লা ফারজানা প্রথম আলোকে বলেন, প্রজ্ঞাপনের চূড়ান্ত কাগজপত্র রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তিনি সাক্ষর করলে এটি প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হবে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) খবরে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চোখের চিকিৎসার জন্য ১৬ দিনের সফরে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি ও তাঁর স্ত্রী রাশিদা খানমসহ সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত বিমান গত শনিবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

আরও পড়ুন

চার বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন কার্যক্রম চলার পর চলতি মাসেই ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত নিয়োগের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করার কথা ছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। চার বছরের বেশি সময় আগে ৪০তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। কিন্তু এখনো এ বিসিএসের কার্যক্রম শেষ হয়নি। পিএসসি নিয়োগের জন্য প্রার্থী চূড়ান্ত করে দিলেও এখন তাঁদের নিয়োগ দিতে পারেনি সরকার।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশি যাচাইয়ের (ভেরিফিকেশন) সব প্রতিবেদন পেতে দেরি হওয়ার কারণে প্রজ্ঞাপন প্রকাশে দেরি হয়। এ কারণে নিয়োগ দিতে দেরি হয়।

২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পিএসসি ৪০তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে মোট ১ হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়। ওই বিসিএসে আবেদন করেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী। ২০১৯ সালের ৩ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরীক্ষা দেন ৩ লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী। ওই বছরের ২৫ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ প্রার্থী।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ফেব্রুয়ারিতে। দেশে ওই সময় করোনা মহামারি শুরু হলে খাতা দেখাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে। প্রায় এক বছর পর গত বছরের ২৭ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১০ হাজার ৯৬৪ জন পাস করেন।

এরপর করোনা পরিস্থিতির কারণে পাঁচবার মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে পিএসসি। এ বছরের ৩০ মার্চ চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১ হাজার ৯৬৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে পিএসসি।

৪০তম বিসিএস পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত পিএসসির এক সদস্য বলেন, করোনার কারণে শুরুর দিকে অফিসের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে চালু হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হয়েছে। সবাই একসঙ্গে অফিসে যেতে পারেননি। মৌখিক পরীক্ষার সময় করোনা বেড়ে গেলে কার্যক্রম দফায় দফায় থামিয়ে দিতে হয়েছে।

এভাবে ৪০তম বিসিএসের কার্যক্রম পিছিয়ে পড়ে। ওই সদস্য জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে করোনা মোকাবিলায় ৪২তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। তখন ৪০তম বিসিএসের কার্যক্রমের গতি কিছুটা থেমে যায়।