নন–ক্যাডারে নিয়োগের অগ্রগতি ২১ আগস্টের পর
৪০তম বিসিএসের নন–ক্যাডার থেকে নিয়োগের অগ্রগতি ২১ আগস্টের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ওই দিন হাইকোর্টে একটি শুনানির পর এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে বলে জানা গেছে।
পিএসসি সূত্র জানায়, ৪০তম বিসিএসের নন ক্যাডার থেকে চাহিদাপত্র অনুসারে অন্যান্য পদের সাথে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ১৫৬ জন সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগে কার্যক্রমের শেষ পর্যায়ে ছিল পিএসসি। কিন্তু হঠাৎ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) পিএসসিকে এই নিয়োগ স্থগিত করতে বলে। এ খবর শুনে ৪০তম বিসিএসের নন ক্যাডার চাকরিপ্রার্থীরা হাইকোর্টে রিট করেন। তাঁরা তাঁদের পক্ষে আদেশ পান। এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এ বিষয়ে আপিল করলে হাইকোর্ট এ নিয়োগের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেয়। তাতে বলা হয়েছে আগামী ২১ আগস্টে শুনানির আগে নন ক্যাডারে নিয়োগের বিষয়ে পিএসসি কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। ওই নিয়োগ কার্যক্রম যেভাবে আছে সেভাবেই রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই পিএসসি এ বিষয়ে কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এ বিষয়ে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না সেটির জন্য আগামী ২১ আগস্ট হাইকোর্টের শুনানির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
৪০তম বিসিএসের নন–ক্যাডার থেকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে আছে। আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ সময়ে হাইকোর্টে ১৫৬ সহকারী প্রকৌশলীর বিষয়ে রিট হওয়ায় এ নিয়োগ কার্যক্রম আটকে যায়
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘৪০তম বিসিএসের নন–ক্যাডার থেকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে আছে। আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। আমাদের সদস্য, কর্মকর্তারা এ বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু শেষ সময়ে হাইকোর্টে ১৫৬ সহকারী প্রকৌশলীর বিষয়ে রিট হওয়ায় এ নিয়োগ কার্যক্রম আটকে যায়। আদালতে প্রক্রিয়াধীন কোনো বিষয়ে আমার নিজেরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। এটি আদালতেই নিষ্পত্তি হতে হয়। তবে আমারা আশা করছি, শুনানির দিনে বিষয়টি সুরাহা হবে। নন–ক্যাডারের প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ পেতে কিছুটা দেরি হলেও তাঁরা সুফল পাবেন, তাই তাঁদের আর কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে।’
সোহরাব হোসাইন আরও বলেন, ‘নন-ক্যাডার বিধি প্রধানমন্ত্রী পাস করেছেন, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এটি পাস হওয়ার মাধ্যমে নন-ক্যাডার নিয়োগবিধির আওতায় এল। আগের যে বিধি ছিল, তাতে ৩৪তম বিসিএস পর্যন্ত নন-ক্যাডার নিয়োগের বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। পরে বিধি সংশোধন না করা অবস্থাতেই ৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত নন-ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যেটি বিধিসম্মত ছিল না। কেউ যদি এই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করত, তাহলে সমস্যা হতো। এখন নতুন বিধির মাধ্যমে ৩৫তম বিসিএস থেকে ৪৪তম বিসিএসের নন-ক্যাডার নিয়োগ কার্যক্রমের বৈধতা দেওয়া হলো। এখন আর নিয়োগ নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠার সুযোগ থাকল না।
সোহরাব হোসাইন বলেন, বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে অনেকেই আমার সমালোচনা করেছেন বা নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু আমরা চেয়েছি বিধি সংশোধন করা হলে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ভবিষ্যতে কোনো প্রশ্ন উঠবে না এবং নন-ক্যাডারে যাঁরা সুপারিশ পাবেন, ভবিষ্যতে তাঁরা কখনো সংকটে পড়বেন না।
সবকিছু আইনের আওতায় থাকবে। সরকার বিষয়টি অনুধাবন করেছে ও বিধি সংশোধন করার মাধ্যমে পিএসসি সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের সুযোগ রাখেনি, যার সুফল এখন সবাই ভোগ করবেন।’