৪০তম বিসিএস, সুপারিশের দুই বছর পরে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হলেন ৮৯ জন
৪০তম বিসিএসের ফল প্রকাশের প্রায় দুই বছর পর নন-ক্যাডারে ৮৯ প্রার্থী সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে নিয়োগ পেয়েছেন। আজ রোববার এসব প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। শুল্ক, আবগারি ও ভ্যাট অনুবিভাগে নিয়োগ পাবেন তাঁরা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ পাওয়া এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রত্যয়নপত্র ও পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদনের আলোকে ৮৯ প্রার্থীকে দশম গ্রেডে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। এই ৮৯ প্রার্থীকে আগামী ১১ মার্চের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে যোগদানপত্র জমা দিতে হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে যোগদান না করলে ওই প্রার্থী চাকরি করতে সম্মত নয় বলে ধরে নেওয়া হবে।
নিয়োগের পর প্রার্থীদের শুল্ক, আবগারি ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমিতে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে/দপ্তরে কমপক্ষে তিন মাসের বনিয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে, প্রয়োজনবোধে কর্তৃপক্ষ এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ বাড়াতে বা কমাতে পারবে। দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। শিক্ষানবিশকালে যদি তিনি চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযোগী বলে বিবেচিত হন, তবে কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ ছাড়াই তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় যোগদান পত্রের সঙ্গে একজন জামানতদারসহ ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি বন্ড সম্পাদন করতে হবে যে যদি তিনি শিক্ষানবিশকালে অথবা শিক্ষানবিশকাল উত্তীর্ণ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন, তবে প্রশিক্ষণকালে তাঁকে দেওয়া বেতন-ভাতা, প্রশিক্ষণ উপলক্ষে উত্তোলিত অগ্রিম/ভ্রমণভাতা/অন্যান্য ভাতা ও তাঁর প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয়ের সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন। যদি কোনো প্রার্থী বিদেশি নাগরিককে বিবাহ করে থাকেন অথবা বিবাহ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে থাকেন তবে এ নিয়োগপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। চাকরিতে যোগদানকালে তাঁকে যোগদানপত্রের সঙ্গে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি বন্ড দাখিল করতে হবে যে তিনি নিজের বা পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য কোনো যৌতুক নিবেন না এবং কোনো যৌতুক দিবেন না।
২০২২ সালের ৩০ মার্চ ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে পিএসসি। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার পদে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি—এমন ৮ হাজার ১৬৬ প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছিল।