পিএসসির সামনে মানববন্ধন, ৪৪-৪৫-৪৬তম বিসিএস বাতিলের দাবি
সরকারি চাকরিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসে যেসব নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে, সেসব নিয়োগ বাতিল ও প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন বিভিন্ন বয়সের চাকরিপ্রত্যাশীরা। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে বিভিন্ন ব্যানারে শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারীরা পিএসসি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেবেন বলে জানান।
মূলত তিনটি গ্রুপ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয়। তাদের একটি গ্রুপ ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের সব কার্যক্রম বাতিল করে আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানায়। একটি গ্রুপ রেলের ও ইনস্ট্রাক্টর পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মিছিল করে। এ ছাড়া ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করেছেন, এমন একটি গ্রুপ মিছিল করে। তারা পরীক্ষা বাতিল না হওয়ার দাবি তোলে।
মানববন্ধনে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও দুর্নীতির কারণে ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের সব কার্যক্রম বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তোলা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন বিসিএসে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার ক্যাডারদের নিয়োগ বাতিল করে শূন্য পদে নিয়োগ ও প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। সমাবেশে অংশ নেওয়া বিসিএস চাকরিপ্রত্যাশীদের একজন বলেন, ৪৪, ৪৫, ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা বাতিল চান তিনি। এসব পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা হয়েছে বলেও দাবি তাঁর।
আরেকজন আন্দোলনকারী বলেন, ‘বিসিএস ও অন্যান্য নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসে যাঁরা জড়িত, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাঁরা এসব প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের নিয়োগও বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী চাকরিপ্রত্যাশী ব্যানারে অংশ নেওয়া কয়েকজন বলেন, গত ১৮ মার্চ জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর ও ৫ জুলাই বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল ও নতুন পরীক্ষা নেওয়া এবং জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘পিএসসির সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হচ্ছে বলে শুনেছি। আমাদের সঙ্গে কেউ দেখা করতে আসেনি।’