বিসিএস ভাইভার অভিজ্ঞতা-৪, সরকারের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের নাম কী
৪৩তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৯ হাজার ৮৪১ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। প্রতিদিন ১৮০ জনের ভাইভা নেবে পিএসসি। প্রার্থীদের প্রস্তুতির সুবিধার জন্য আগে যাঁরা মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে সফল হয়েছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা প্রথম আলোয় প্রকাশ করা হচ্ছে। নিয়মিত আয়োজনের আজ চতুর্থ পর্বে মৌখিক পরীক্ষার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ৪১তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত সালমান ফারুক।
৪১তম বিসিএসে সালমান ফারুকের প্রথম পছন্দ ছিল পুলিশ ক্যাডার। নিজের প্রথম বিসিএসে পছন্দের ক্যাডার পেয়েছেন। পুলিশ ক্যাডারে ১৩তম হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেন তিনি।
মৌখিক পরীক্ষায় ১০ থেকে ১২টি প্রশ্ন করা হয়েছিল সালমান ফারুককে। দুই বা একটি বাদে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছিলেন। ভাইভা বোর্ডে ঢোকার আগে স্নায়ুবিক চাপ কাজ করছিল সালমান ফারুকের। কারণ, এটাই তাঁর প্রথম বিসিএস ভাইভা। কিন্তু ভাইভা কক্ষে প্রবেশের একটু পরই বোর্ড সদস্যদের আন্তরিক ব্যবহারে চাপমুক্ত হন।
সালমান ফারুক বলেন, ভাইভা বোর্ডে ঢোকার পর আমার নাম, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। প্রথম প্রশ্নই ছিল, পুলিশ ক্যাডার কেন প্রথম পছন্দ? আমি পুলিশের প্রতি প্যাশন, ইউনিফর্মের প্রতি ভালো লাগার কথা বললাম। সবশেষে আমার উচ্চতার বিষয়টাও বললাম। স্যার বললেন, ‘হ্যাঁ এটাই শুনতে চাচ্ছিলাম।’ আমার উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি।
সালমান ফারুক বলেন, পুলিশের বিষয়ে নেতিবাচক ধারণার কথা উল্লেখ করে, আমি পুলিশ সুপার হলে আমার অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতি কীভাবে বন্ধ করব, সেটা জানতে চাওয়া হয়? আমি নেতিবাচক ধারণার সঙ্গে কিছুটা দ্বিমত পোষণ করে দুর্নীতির মূল কারণ অনুসন্ধান করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া এবং কাউন্সেলিংয়ের কথা বলেছিলাম।
সরকারে শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাওয়া হয় সালমান ফারুকের কাছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা জানিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম বলেছিলেন তিনি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) জরিপের রেফারেন্স দিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন।
কারও অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে স্বজনেরা সেই মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে না চাইলে কার কাছে থেকে অনুমতি নিতে হবে, জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অনুমতি নিতে হবে।
একটি ছবি দেখিয়ে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। যেখানে পিএসসির সদস্যপ্রধান বিচারপতির কাছ থেকে শপথ নিচ্ছেন। সংবিধান অনুযায়ী শপথের বিষয়টা বলেছিলেন সালমান ফারুক।
knowledge এবং wisdom-এর মধ্যে পার্থক্য জানতে চাওয়া হয়। এর উত্তরে বলেছিলেন, knowledge-এর সঙ্গে অভিজ্ঞতা যুক্ত হলে সেটা wisdom। উত্তর শুনে বোর্ড চেয়ারম্যান বাহবা দিয়েছিলেন।