৪৬তম বিসিএসের প্রিলি কাল, পরীক্ষার কক্ষে করণীয় ও বর্জনীয়
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার কক্ষে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ৪১তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. শরীফুল্লাহ।
পরীক্ষার হলে প্রবেশের পর কারও থেকে দেখে দাগানোর কোনো চিন্তা মাথায় আনা যাবে না। আপনার প্রস্তুতি শূন্য হতে পারে, তারপরও নিজেকে বিচার করবেন, কী পারেন আর কী পারেন না।
আমাকে ১৪০+ পেতেই হবে, এমন মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসুন। আপনি নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দেবেন। নেগেটিভ মার্কিং নিয়ে চিন্তা করে পরীক্ষা শুরু করলে নার্ভাস হয়ে যেতে পারেন। অনেক জানা প্রশ্নও ভুল হয়ে যেতে পারে।
সাধারণত তিন ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন। ১০০ শতাংশ নিশ্চিত আপনি পারেন, ৫০ শতাংশ পারেন আর বাকিগুলো পারেন না। যা পারেন না, তা দাগানো মানে হলো নেগেটিভ মার্কিং আর শতভাগ নিশ্চিত তো অবশ্যই দাগাবেন। বাকি থাকে ৫০ শতাংশ নিশ্চিত প্রশ্নগুলো। সেখান থেকে কিছু দাগানো যেতে পারে।
আপনার সেটে ১ নম্বর প্রশ্ন থেকে যে বিষয় দিয়ে শুরু হবে, তা দিয়েই আপনি উত্তর শুরু করতে পারেন। অথবা যে বিষয়ে আপনার আত্মবিশ্বাস বেশি, সে বিষয়ে আগে দাগানো যেতে পারে।
কতগুলো প্রশ্নের উত্তর দাগিয়েছেন, এটা শেষে দেখা যেতে পারে। এ জন্য শেষে ৫ থেকে ১০ মিনিট হাতে রেখে দেওয়া ভালো।
অঙ্ক, মানসিক দক্ষতা, ইংরেজি ব্যাকরণ, বাংলা ব্যাকরণ—এসব বিষয়ের না পারা অংশগুলো, শেষ মুহূর্তে চেষ্টা করলে উপকৃত হওয়া যায়। কারণ, যুক্তি দিয়ে মেলাতে পারলে ভুল হওয়ার আশঙ্কা কম।
সাধারণ জ্ঞান বা মুখস্থনির্ভর প্রশ্ন শেষ মুহূর্তে না দাগানোই ভালো। কারণ, দাগালেই ভুল হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
প্রতিটি হলেই ঘড়ি থাকবে। তবে বারবার ঘড়ি দেখার প্রয়োজন নেই। কিছু বিষয়ে সময় বেশিই লাগে। যেমন: অঙ্ক ও মানসিক দক্ষতা। তাই আপনি যদি ভাবেন যে মাত্র আধা ঘণ্টায় এ কয়টা দাগিয়েছি, তাহলে নার্ভাস হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
যাঁরা নিয়মিত মডেল টেস্ট চর্চা করেছেন, তাঁদের জন্য সময় ব্যবস্থাপনা সহজ হবে। আর আপনি ওভাবেই পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনার চেষ্টা করুন।
বাসায় মডেল টেস্টে কোনো বিষয়ে খুব ভালো নম্বর পেলেন, কিন্তু পরীক্ষার হলে দেখলেন, ওই বিষয়ে খুবই কম নম্বর পাচ্ছেন, এটা নিয়ে চিন্তিত না হওয়াই ভালো। কারণ, ওই বিষয় সবার জন্যই কঠিন হয়েছে।
বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, প্রতিবছরই দু–একটা বিষয়ের প্রশ্ন কঠিন হয়ে থাকে। পরীক্ষা আসলে ২০০ নম্বরের। তাই একদিকে কঠিন হলে, অন্যদিকে আবার সহজ হয়।
আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করুন। কে কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন, কার পঠিত বিষয় কী ছিল, আপনার চেয়ে কে এগিয়ে, এসব ভাবার কোনো প্রয়োজন নেই। এখানে সবাই সমান। তাই নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন।
পরীক্ষার হলে চাপমুক্ত থাকার জন্য আপনাকে সহজ চিন্তা করতে হবে। এটা চাকরির পরীক্ষা। আপনি সামনে আরও পরীক্ষা দেবেন আর আপনি আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, বাকিটা ভাগ্য।