ভাইভায় যে যে উত্তর দিয়েছিলেন নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের কায়সার

৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত কায়সার মাহমুদছবি: সংগৃহীত

৪৪তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা চলবে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত। এখন প্রতিদিন ৯০ জনের ভাইভা হচ্ছে। ৯ জুলাই থেকে প্রতিদিন ১৮০ জন প্রার্থীর ভাইভা নেবে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রার্থীদের প্রস্তুতির সুবিধার জন্য আগে যাঁরা মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে সফল হয়েছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা প্রথম আলোয় প্রকাশ করা হচ্ছে। নিয়মিত আয়োজনের আজ সপ্তম পর্বে মৌখিক পরীক্ষার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ৪৩তম বিসিএসে নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত কায়সার মাহমুদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পাস করা কায়সার মাহমুদের ৪৩তম বিসিএস প্রথম বিসিএস। প্রথম বিসিএসেই ভাইভা দিয়ে নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। গত ১৪ নভেম্বর ভাইভা হয়। ১৫ মিনিটের মৌখিক পরীক্ষায় ৩০ থেকে ৩৫টি প্রশ্ন করা হয়।

৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত কায়সার মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

মৌখিক পরীক্ষার কক্ষে ঢোকার পর কায়সার মাহমুদকে জিজ্ঞাসা করা হয়, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোথায় করেছেন, বর্তমানে কী করছেন? উত্তরে তিনি বলেন, স্নাতকের ফলাফল হয়েছে ২০২০ সালের জুলাইয়ে এবং স্নাতকোত্তরে ফলাফল হয়েছে ২০২২ সালে। বর্তমানে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত আছি।
৪৩তম বিসিএসের পছন্দক্রমের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে কায়সার মাহমুদ বলেন, প্রথম পছন্দ প্রশাসন, দ্বিতীয় পুলিশ ও তৃতীয় শুল্ক ও আবগারি ক্যাডার। সুশাসন কী? সুশাসনের উপাদান কী কী? উত্তরে কায়সার সুশাসনের সংজ্ঞা দেওয়ার পর উপাদান হিসেবে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও আইনের শাসনের কথা বলেন।

সোশ্যাল সেফটি নেট প্রোগ্রামের বাজেট কত, এটি আমাদের জন্য কেন প্রয়োজন? কায়সার মাহমুদ উত্তরে বলেন, সোশ্যাল সেফটি নেট প্রোগ্রামের বাজেট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণিসহ সবাইকে নিয়ে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটি প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

ইসিএ কী, এমন কতটি এলাকা আছে আমাদের? কায়সার মাহমুদ বলেন, ইসিএ হলো ইকোলজি ক্রিটিক্যাল এরিয়া। এমন ১৩টি এলাকা আছে আমাদের। এলাকাগুলো হলো সুন্দরবন, কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, টাঙ্গুয়ার হাওর প্রভৃতি।

আমাদের কী কী পণ্য রপ্তানি হয়, রপ্তানি আয় কত, গত অর্থবছরে কোন পণ্য থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় হয়? এসব প্রশ্নের উত্তরে কায়সার বলেন, তৈরি পোশাকশিল্প, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য আমাদের রপ্তানি পণ্য। গত অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার আয় হয়।

আরও পড়ুন
৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত কায়সার মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

আমাদের চামড়াশিল্প এত বিশাল, কিন্তু রপ্তানি কম কেন? এমন প্রশ্নে কায়সার মাহমুদ বলেন, লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের সনদপ্রাপ্ত চামড়াশিল্প আমাদের রয়েছে তিনটি। এ ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর এ সনদ না থাকায় চামড়াপণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে পারে না।
কীভাবে এই সনদ আরও বেশি প্রতিষ্ঠান পেতে পারে এবং সেগুলো অর্জনে আমাদের কোনো অগ্রগতি আছে কি না? কায়সার উত্তর দেন, এই সনদ পাওয়ার জন্য যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, সেগুলো হলো পণ্যের মান উন্নয়ন, পরিবেশগত সংবেদনশীলতা রক্ষা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।

সিমেন্টশিল্প নিয়ে প্রশ্ন করা হয় কায়সারকে। কোনো সিমেন্টশিল্প ঘুরতে গিয়েছিলেন কি না—এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সিলেটের ছাতকে একটি সিমেন্ট কারখানা ঘুরতে গিয়েছিলাম। এরপর সিমেন্টশিল্প নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। একটির উত্তর দিতে পারিনি।

২০৪১ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কত হবে? উত্তরে কায়সার মাহমুদ বলেন, ২০৪১ সালে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন