৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা
বাংলা বিষয়ে প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর শুরু হবে। প্রার্থীদের প্রস্তুতির সুবিধার জন্য প্রথম আলোয় লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ দ্বিতীয় পর্বে বাংলা বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ দিয়েছেন ৪১তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে (সমাজকল্যাণ) সুপারিশপ্রাপ্ত মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন।
বিসিএস লিখিত বাংলায় ২০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। বাংলা প্রথম পত্রে ১০০ ও বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ১০০। বাংলা প্রথম পত্রে ব্যাকরণে ৩০, ভাব-সম্প্রসারণে ২০, সারমর্মে ২০ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক প্রশ্নোত্তরে ৩০ নম্বর। বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদে ১৫, কাল্পনিক সংলাপে ১৫, পত্রলিখনে ১৫, গ্রন্থ সমালোচনায় ১৫ ও রচনায় ৪০ নম্বর। ভাব-সম্প্রসারণ, সারমর্ম, সংলাপ, অনুবাদ ও পত্র লেখা মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়ে লেখা সম্ভব। ১১৫ নম্বরের জন্য ইতিমধ্যে প্রিলিমিনারিতে পড়েছেন। বাকি ৮৫ নম্বরের জন্য অনেক বেশি প্রস্তুতি নিতে হবে। এগুলোতে নম্বর ওঠানো তুলনামূলক কঠিন। সেগুলো হচ্ছে—গ্রন্থ সমালোচনা-১৫, সাহিত্যবিষয়ক প্রশ্ন-৩০ ও রচনা-৪০।
১. ব্যাকরণ
ব্যাকরণ থেকে পাঁচটি প্রশ্ন থাকবে। একেকটি ৬ নম্বর করে মোট ৩০ নম্বর। তুলনামূলক সহজ হওয়ায় এ অংশে ২৭ থেকে ২৮ নম্বর খুব সহজেই পাওয়া যায়।
ক. শব্দ গঠন: উৎপত্তি অনুসারে, গঠন অনুসারে, অর্থ অনুসারে শব্দ, শব্দ গঠন প্রক্রিয়া, উপসর্গ, বচন, সমাস, প্রত্যয়, সন্ধি প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ। নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বা যেকোনো গাইড বই থেকে পড়ে নিতে পারেন।
খ. বানান/বানানের নিয়ম: বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানানরীতি অনুসারে তৎসম শব্দের নিয়ম, অ-তৎসম শব্দের নিয়ম, প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান এবং বাংলা বানানের শুদ্ধরূপ গুরুত্বপূর্ণ।
গ. বাক্যশুদ্ধি/প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ: বাক্যের পদক্রম, বিভক্তি, প্রবাদ-প্রবচন, উপসর্গ, লিঙ্গ, বাচ্য, বচন ও প্রত্যয়জনিত ভুলগুলো ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। গুরুচণ্ডালী দোষ, বাহুল্য দোষ এবং সাধু ও চলিত ভাষারীতির মিশ্রণজনিত ভুল সম্পর্কেও জানতে হবে। এ-সংক্রান্ত আগের বছরের প্রশ্নগুলো দেখলে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে।
ঘ. প্রবাদ-প্রবচনের নিহিতার্থ প্রকাশ: প্রবাদ-প্রবচন ব্যবহার করে অর্থপূর্ণ বাক্য গঠন করতে হবে কিংবা বাগ্ধারার অর্থ লিখে বাক্য গঠন করতে হবে।
ঙ. বাক্য গঠন: বাক্য, বাক্যের গুণাবলি, বাক্যের প্রকারভেদ ও বাক্য রূপান্তরসংক্রান্ত প্রশ্ন আসতে পারে। নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বই বা যেকোনো গাইড বই থেকে পড়ে নিলেই যথেষ্ট।
২. ভাব-সম্প্রসারণ
কোনো গদ্যাংশ কিংবা পদ্যাংশের অন্তর্নিহিত ভাবকে সুন্দর সাহিত্যিক ও প্রাঞ্জল ভাষায় বিশদ বিশ্লেষণ করতে হবে। প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যাংশের ভাবব্যঞ্জনার মর্মোদ্ধার করে তা সবিস্তারে আকর্ষণীয় ভাষায় প্রকাশ করার নামই ভাব-সম্প্রসারণ। ভাব-সম্প্রসারণকে তিন প্যারা করে লিখবেন। প্রথমে তিন-চারটি বাক্যে সূচনামূলক কিছু বক্তব্য সাহিত্যিক ভাষায় লিখতে হবে। পরে ভাব-সম্প্রসারণের মূল বক্তব্যকে বিশদ আলোচনা, যুক্তিতর্ক, উপমা, রূপকল্প, প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি, প্রয়োজনীয় তথ্য, প্রবাদ-প্রবচন, এমনকি প্রয়োজনবোধে ঐতিহাসিক, পৌরাণিক কিংবা বৈজ্ঞানিক তথ্যের সাহায্যেও মূলভাবের অন্তর্নিহিত যুক্তিগুলোকে সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করা যায়। পুরো আলোচনাকে কয়েকটি বাক্যে গুছিয়ে লিখতে হবে, যাতে পরীক্ষক আপনার লেখায় আটকে থাকেন। সব সময়ই সূচনা ও উপসংহার যেন আকর্ষণীয় হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে।
৩. সারাংশ ও সারমর্ম
সারাংশ ও সারমর্মে উল্লেখিত বক্তব্যকে অতি সংক্ষেপে উপস্থাপন করতে হবে। প্রশ্নে দেওয়া বিষয়টি খুব মনোযোগসহকারে কয়েকবার পড়তে হবে এবং মর্মার্থ বুঝতে হবে। সারাংশটি যেন মূল বিষয়ের এক-তৃতীয়াংশের বেশি না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। পরীক্ষার খাতায় লেখার আগেই মনে মনে সাজিয়ে নিতে হবে এবং বাক্যের পরম্পরা ঠিক করে নিতে হবে। এরপর সহজ-সরল তিন-চারটি বাক্যে মূলকথাকে উপস্থাপন করতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য পরিহার করে কেবল মর্মার্থটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলেই ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।
৪. বাংলা ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক প্রশ্নোত্তর
বাংলার প্রস্তুতিতে এ অংশে সবচেয়ে বেশি সময় দেওয়া প্রয়োজন। প্রিলিমিনারির জন্য ইতিমধ্যেই সাহিত্য অংশটুকু অনেকটাই পড়ে ফেলেছেন। তবে লিখিতের প্রশ্নপদ্ধতি কিছুটা বিশ্লেষণমূলক হওয়ায় এবং এ-সংক্রান্ত সিলেবাসের পরিধি বেশি থাকার কারণে যেকোনো মৌলিক বই কিংবা গাইড বই থেকে নিয়মিত পড়তে হবে। প্রথমেই পিএসসি নির্ধারিত ১১ সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম বিস্তারিত পড়তে হবে। এরপর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কবি-সাহিত্যিকের জীবনী ও সাহিত্যকর্ম, চর্যাপদ, মধ্যযুগ, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য এবং বিখ্যাত পত্রপত্রিকা সম্পর্কে পড়তে হবে। পিএসসি নির্ধারিত ১১ সাহিত্যিক হলেন—ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মীর মশাররফ হোসেন, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্দিন, বেগম রোকেয়া, ফররুখ আহমদ ও কায়কোবাদ। সাহিত্যসংক্রান্ত ১০টি প্রশ্নের মধ্যে সাত-আটটি মোটামুটি কমন পাওয়া যায়। অবশিষ্ট দু-তিনটি প্রশ্ন অপেক্ষাকৃত কঠিন ও আনকমন হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে কেবল বিস্তারিত পড়া থাকলেই সঠিক উত্তর করা যাবে।
৫. অনুবাদ
ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদে ১৫ নম্বর থাকে। বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় অনুবাদে মোট ৬৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে। ইংরেজি বিষয়ে ৫০ আর বাংলায় ১৫। উভয় বিষয়ের ক্ষেত্রেই অনুবাদের প্রস্তুতি অভিন্ন। অনুবাদে পারদর্শী হতে হলে নিয়মিত অনুশীলন করে যেতে হবে। ডেইলি স্টার পত্রিকার ইংরেজি আর্টিকেলগুলো বাংলায় অনুবাদ করবেন এবং এই পত্রিকার বাংলা ভার্সনের সঙ্গে মিলিয়ে নেবেন। ইংরেজি বড় বাক্যগুলো ভেঙে ভেঙে অনুবাদ করবেন। অনুবাদের ক্ষেত্রে হুবহু অনুবাদ না করে ভাবানুবাদ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। অনুবাদে ভালো নম্বর পেতে হলে প্রচুর ইংরেজি ভোকাবুলারি জানতে হবে।
৬. কাল্পনিক সংলাপ
কাল্পনিক সংলাপ লেখার আগে বিষয়বস্তু সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। সংলাপের ভাষা যেন বাস্তবসম্মত হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। উপযুক্ত চরিত্র নির্বাচন ও চরিত্রগুলো যথাযথ বক্তব্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে হবে। সংলাপের উপস্থাপনায় কিছুটা নাটকীয়তা থাকতে পারে। ফলে সংলাপটি প্রাণবন্ত হবে। কথোপকথনের মধ্যে যুক্তিতর্ক, প্রয়োজনীয় তথ্য, দৃষ্টান্ত ও উদ্ধৃতির ব্যবহার করা যেতে পারে। সংলাপটি যেন নিছক প্রশ্নোত্তর পর্ব না হয়ে কল্পনা ও বাস্তবতা মিলে পাঠযোগ্য হয়।
৭. পত্রলিখন
পরীক্ষায় সাধারণত তিন ধরনের পত্র বেশি আসে। সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র, আবেদনপত্র ও ব্যক্তিগত পত্র। এ ছাড়া ব্যবসায়িক পত্র, মানপত্র, স্মারকলিপি, এমনকি সামাজিক পত্রও দু-একবার পরীক্ষায় এসেছে। এগুলো লেখার সঠিক পদ্ধতি যেকোনো একটা গাইড বই থেকে শিখে নেবেন। পত্রলিখনে সাধারণত দুটি অপশন থাকে। আবেদনপত্র থাকলে সেটাই লেখার চেষ্টা করবেন। পত্রের ভাষা সাবলীল ও মানসম্মত হওয়া জরুরি।
৮. গ্রন্থ সমালোচনা
বাংলা ভাষার বিখ্যাত কোনো গ্রন্থের সমালোচনার জন্য ১৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে কালজয়ী ও পাঠকনন্দিত গ্রন্থের সংখ্যা অনেক বেশি। সব কটি বই সম্পর্কে জানা অনেক কঠিন। একসময় সুনির্দিষ্ট গ্রন্থের সমালোচনা করতে হতো পরীক্ষায়। ৩৮তম বিসিএসে অসমাপ্ত আত্মজীবনী অথবা কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থের সমালোচনা এসেছিল। তবে পরবর্তী বিসিএসগুলোতে যেকোনো একটি শ্রেণির গ্রন্থ সমালোচনা এসেছে। যেমন—মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বা বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যভিত্তিক। তাই অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়াচীন, বঙ্গবন্ধু আমার পিতা—এই বইগুলোসহ প্রতিটি ক্যাটাগরির একটি করে গ্রন্থ সমালোচনা আত্মস্থ করা উচিত। গ্রন্থ সমালোচনা লেখার কিছু নিয়ম রয়েছে। শুরুতেই লেখকের নাম, প্রথম প্রকাশ, প্রকাশক, পৃষ্ঠা, মূল্যসহ প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো লিখতে হবে। এরপর উক্ত গ্রন্থ লেখার প্রেক্ষাপট, নামকরণের যৌক্তিকতা, আলোচ্য বিষয়, অধ্যায়ভিত্তিক বিন্যাস ও চরিত্র সম্পর্কে আলোকপাত করতে হবে। ভাষা সাহিত্যের বিবেচনায় গ্রন্থটির মান সম্পর্কেও উল্লেখ করতে পারেন। গ্রন্থটির উল্লেখযোগ্য কয়েকটি লাইন লিখে দিতে পারেন। গ্রন্থ সম্পর্কে বিখ্যাত কোনো লেখক-সাহিত্যিকের মূল্যায়ন যুক্ত করলে আপনার লেখার মান বেড়ে যাবে। লেখকের ব্যক্তিগত উপলব্ধি, জোরালো বক্তব্য কিংবা ঘটনা পরম্পরার সামঞ্জস্যও তুলে ধরা যায়। শেষে বইটির সীমাবদ্ধতা, লেখক কতটুকু সফল বা ব্যর্থ এবং বইটি কালজয়ী কি না, এসব বিষয় লিখতে হবে।
৯. বাংলা রচনা
পাঁচটি বিষয়ের মধ্য থেকে যেকোনো একটি বিষয়ে বাংলা রচনা লিখতে হবে। ৪০ নম্বরের বাংলা রচনার জন্য এক ঘণ্টা সময় বরাদ্দ রাখা উচিত। বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে অন্তত ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ শব্দের মধ্যে রচনা লিখতে হবে। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির সব টপিক ভালোমতো আয়ত্ত করলে বাংলা রচনার প্রস্তুতি প্রায়ই হয়ে যায়। এ ছাড়া ইংরেজি রচনার জন্য প্রস্তুতি নিলে সেটা বাংলা রচনায়ও কাজে লাগে। রচনার তিনটি প্রধান অংশ—ভূমিকা, মূল বিষয় ও উপসংহার। প্রতিটি রচনার শুরু ও শেষ আকর্ষণীয় হওয়া বাঞ্ছনীয়। ভূমিকা ও উপসংহার অংশে তথ্যের পরিবর্তে ভাবের প্রতিফলন হওয়া দরকার। রচনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মূল বিষয়বস্তু। যত বেশি সম্ভব পয়েন্ট আকারে লেখা যায়, তত ভালো। সহজ-সরল ভাষায় উপস্থাপন করলে অতি সহজেই পরীক্ষকের মনোযোগ আকর্ষণ করা যাবে। তথ্য-উপাত্তের সমাহার, বিখ্যাত ব্যক্তির উক্তি, প্রসিদ্ধ গ্রন্থ বা সাময়িকীর উদ্ধৃতি, মানচিত্র, লেখচিত্র ও অন্যান্য পরিসংখ্যান দিলে রচনার মান বাড়বে। প্রয়োজনবোধে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, যুক্তিতর্ক, প্রমাণ উপস্থাপন ও জোরালো বক্তব্য প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। সাধু-চলিত ভাষার মিশ্রণ পরিহার করতে হবে এবং বিশুদ্ধ বানান ও প্রমিত বাংলায় বাক্যগুলো গঠন করতে হবে। বাজেট, অর্থনৈতিক সমীক্ষা, সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নোট করে রাখা উচিত। প্রয়োজনে তথ্যগুলো ব্যবহার করলে ভালো নম্বর পাওয়া সহজ হবে। রচনা কমন পাওয়ার চিন্তা না করে বিস্তারিত প্রস্তুতি নিতে হবে। রচনায় ভালো করার জন্য বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, ভাষা ও সাহিত্য, উন্নয়ন ও অর্থনীতি, রাষ্ট্র, সমাজ, রাজনীতি, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিবেশ ও সামাজিক সমস্যাসংক্রান্ত সব বিষয়ে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া আবশ্যক।
বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বাংলা খাতা সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষকেরা দেখে থাকেন। তাঁরা সুন্দর উপস্থাপনা, মার্জিত ভাষা ও চমৎকার শব্দচয়ন প্রত্যাশা করেন। বিষয়টি খেয়াল রেখে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি প্রশ্নের নম্বর অনুযায়ী সময় বরাদ্দ রাখতে হবে এবং সব প্রশ্নের উত্তর লিখে আসতে হবে। সবার জন্য শুভকামনা।