এক পদে ২ লাখ ৫৫ হাজার আবেদনের সেই পরীক্ষা স্থগিত

প্রতীকী ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের লিখিত পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। ২৪ জুন এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

আজ বৃহস্পতিবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষার্থীদের মুঠোফোনেও পরীক্ষা স্থগিতের খুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগের জন্য ২৪ জুন অনুষ্ঠিতব্য লিখিত পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো। পরবর্তীকালে পরীক্ষার তারিখ ও সময় প্রার্থীদের মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে পাঠানো হবে। এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি পদের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২ লাখ ৫৫ হাজার ২৯২ জন। ২৪ জুন কাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এসব প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল।

আরও পড়ুন

আগে প্রকাশিত আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, ২৪ জুন রাজধানীর ৯৬টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কোনো কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি ছিল। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কম্পিউটার টেস্ট এবং মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

২০১৯ সালের আগস্টে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। করোনা মহামারির কারণে এত দিন পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার এই পদের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।

আরিফ তন্ময় নামের একজন পরীক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার চাকরির বয়স শেষ। সেই ২০১৯ সালে এই পদে আবেদন করেছিলাম। আবেদনের প্রায় চার বছর হতে যাচ্ছে তবুও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। এবার পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে স্থগিত করা হলো। আবার কবে পরীক্ষা নেবে কে জানে। পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (পার্সোনেল) মুহাম্মদ আবদুল হাই ১২ জুন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে শূন্য পদের সংখ্যা ৫০৬। আবেদন করেছেন ২ লাখ ৫৫ হাজার ২৯২ জন। ২৪ জুন এসব প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কম্পিউটার টেস্ট এবং মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

এই পদে এর আগেও এত বেশি চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণত আবেদনকারীর সংখ্যা এমনই থাকে। তৃতীয় শ্রেণির একটি পদের বিপরীতে এত বেশিসংখ্যক পরীক্ষার্থীর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের চাকরির গ্রুপগুলোয় অনেকেই সমালোচনা করছেন।

মোজাম্মেল হোসেন নামের একজন চাকরিপ্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটা তৃতীয় শ্রেণির পদেই আড়াই লাখ প্রার্থী পরীক্ষা দেবেন। শিক্ষিত বেকারত্বের হার কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তার একটি নমুনা এটি। আমার মনে হয়ে, এই তৃতীয় শ্রেণির পদে যাঁরা পরীক্ষা দেবেন, তাঁদের অধিকাংশই অনার্স-মাস্টার্স পাস। অন্যান্য চাকরিতেও একই অবস্থা।’