বিসিএস প্রিলিমিনারি নিয়ে সংস্কার প্রস্তাব দিলেন প্রার্থীরা, সংস্কারে যা আছে

ছবি: প্রথম আলো

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন বিসিএসে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার কেমন বিপিএসসি দেখতে চাই এবং কী কী সংস্কার প্রয়োজন শীর্ষক ‘অংশীজনের ভাবনা’য় বিসিএসে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা এ প্রস্তাব দেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি কার্যালয়ে এ সভায় নানা বিষয়ে ভাবনা তুলে ধরেছেন শিক্ষার্থীরা। দিনভর এ সভা চলবে।

আরও পড়ুন

প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাবে যা বলা হয়েছে

*বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিটি বিসিএসে কতজনকে প্রিলিমিনারি পাস করানো হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া যেতে পারে;

*প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে কাট মার্কস উল্লেখসহ প্রার্থী কত মার্কস পেয়েছেন, তা জানিয়ে খুদে বার্তা দেওয়া যেতে পারে;

*বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হওয়ার পর, বিপিএসসি (বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন) পরীক্ষার প্রশ্নের একটি খসড়া উত্তরপত্র পিএসসির ওয়েবসাইটে আপলোড করে ৭ দিন সময় দেওয়া যেতে পারে। কোনো প্রশ্নের উত্তর ভুল পরিলক্ষিত হলে পরীক্ষার্থী সেই প্রশ্নের উত্তর রেফারেন্সসহ পিএসসিকে ই-মেইল করতে পারেন—এমন সুযোগ রাখা যেতে পারে। এ কাজ শেষ হওয়ার পর পিএসসি একটি ফাইনাল উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে আপলোড করে ওএমআর চেকিং করার কাজ শুরু করতে পারে। যেমনটা ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস করে থাকে;

*প্রশ্নপত্রের ওপরে রাফ করা যাবে, তা প্রশ্নের নিচে উল্লেখ করে দিলে পরীক্ষার্থীদের সুবিধা হবে। অনেক হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্মাননীয় শিক্ষকদের কাছে স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় তাঁরা পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নে রাফ করতে দেন না। এতে পরীক্ষার্থীদের অকৃতকার্য হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়;

*পরীক্ষার শেষে প্রশ্নপত্র দিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, প্রিলিমিনারি প্রশ্নপত্র এবারে না দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে।

আরও পড়ুন
কেমন বিপিএসসি দেখতে চাই এবং কী কী সংস্কার প্রয়োজন শীর্ষক ‘অংশীজনের ভাবনা’য় বিসিএসে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা
ছবি: প্রথম আলো
আরও পড়ুন

অনুষ্ঠানে পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক দিন, এর আগে কখনই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের কোনো কর্মশালা বা মতবিনিময় সভা করা হয়নি। এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও করার অভিপ্রায় রয়েছে। ইউনিক আইডি প্রদান সম্পর্কে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যোগ্য ও উপযুক্ত কর্মকর্তা নিয়োগের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা কেমন কর্ম কমিশন চায় তাদের মতামতের আলোকে স্বপ্নের কর্ম কমিশন গড়ে তোলা হবে। যেসকল সংস্কার ও পরিবর্তনের মতামত শিক্ষার্থীরা দিয়েছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা হবে এবং উপযুক্ত পরামর্শ বাস্তবায়ন করা হবে।’

এ সময় কমিশনের সদস্য, কমিশন সচিবালয়ের সচিব এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন