৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার বিজ্ঞপ্তি বাতিলসহ, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ফলাফল আলাদা প্রকাশ করে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে নতুন নন-ক্যাডার বিজ্ঞপ্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ৪৩তম বিসিএসের ফলাফলপ্রত্যাশীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ সোমবার বিকেলে ৪৩তম বিসিএসের চাকরিপ্রত্যাশীরা এই মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে চাকরিপ্রত্যাশীরা ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের চয়েজ লিস্ট বাতিল করে অধিকসংখ্যক প্রার্থীর চাকরির সুপারিশের ব্যবস্থা করা এবং পূর্বতন বিসিএসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৈষম্য হ্রাস করার দাবি জানান। তারা একইসঙ্গে নন-ক্যাডারের সার্কুলারকে বৈষম্যের ও প্রহসনমূলক বলে অভিহিত করেন।
চাকরিপ্রত্যাশীদের ভাষ্য, ‘ক্যাডার ও নন–ক্যাডার ফলাফল একসঙ্গে দেওয়ার কোনো বিধি না থাকা সত্ত্বেও পিএসসি ৪৩তম বিসিএসে তড়িঘড়ি করে একসঙ্গে ফলাফল প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন। যার ফলে সময় স্বল্পতার কারণে নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা অন্যান্য বিসিএসের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। ৪৩তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তির সময় এই ধরনের কোনো ঘোষণা না থাকার কারণে আমরা একটা স্বপ্ন নিয়ে এগিয়েছি। সেখানে দীর্ঘ তিন বছর পর নন-ক্যাডার পদের এমন স্বল্পতা দেখে আমাদের ওপর বিনা দেখে বজ্রপাত পড়ার মতো অবস্থা হয়েছে। আমাদের দাবি হচ্ছে, যে বিসিএস থেকে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফলাফল একসঙ্গে পাবলিশের ঘোষণা হয়েছে, সে বিসিএস থেকেই তা কার্যকর করা হোক।’
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। আন্দোলন ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো উপায় নেই।’
ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল আলাদা দেওয়াসহ ৪ দফা দাবিতে ১১ ডিসেম্বর থেকে ফলাফলপ্রত্যাশীরা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে ঘোষণা দেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।