৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় একসঙ্গে আবেদন করে পাশাপাশি বসে পরীক্ষা দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। কারণ, এবার দৈবচয়নের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রার্থীদের নিবন্ধন নম্বর তৈরি হবে। এ ছাড়া আগের মতো আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে প্রবেশপত্র ইস্যু না করে ১৫ ফেব্রুয়ারির পর থেকে প্রবেশপত্র ইস্যু করা হবে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনকারীদের একসঙ্গে আবেদন করে ও ফি জমা দিয়ে পাশাপাশি নিবন্ধন নম্বর পাওয়া এবং সে অনুযায়ী পাশাপাশি বসে পরীক্ষা দেওয়ার বিরুদ্ধে বিগত দিনে অনেকে অভিযোগ করেছেন। তাই এবার সম্পূর্ণ দৈবচয়নের ভিত্তিতে নিবন্ধন নম্বর তৈরি করা হবে। ফলে প্রার্থীরা পাশাপাশি বসে পরীক্ষা দেওয়ার কোনো সুযোগ পাবেন না।
প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়, আবাসিক হল, লাইব্রেরিভিত্তিক কিছু গ্রুপ ও ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপের চাকরিপ্রার্থীরা একত্র হয়ে একই সময়ে বিসিএসের আবেদন করে একই সঙ্গে ফি জমা দিতেন। এ কারণে তাঁদের পরীক্ষাকেন্দ্রও একই প্রতিষ্ঠান ও কক্ষে পড়ত। ৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর অনেক প্রার্থী অভিযোগ করেন, পরীক্ষায় দেখাদেখি করার জন্য এভাবে সিট নেন তাঁরা।
৪৫তম বিসিএসের আবেদনের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। প্রার্থীরা প্রথমদিকে আবেদন না করে শেষ সময়ে তাড়াহুড়ো করে আবেদন করতে যান। এতে বিভিন্ন তথ্য প্রদানে ভুল হয়ে থাকে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আবেদন করার পর ফরমে কোনো প্রকার ভুল সংশোধন করার সুযোগ থাকবে না। অনিবার্য কোনো কারণ ছাড়া আবেদনের সময় বাড়বে না। তাই শেষ তারিখের জন্য অপেক্ষা না করে হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বিজ্ঞপ্তি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে নির্ধারিত শেষ দিনের আগেই আবেদন করতে হবে।