৪৫তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের কোড সংশোধন

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন
ফাইল ছবি

৪৫তম বিসিএসের আবেদন করতে গিয়ে সমস্যা হওয়ায় ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের কোড সংশোধন করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

এবারই প্রথমবারের মতো ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি। আবেদনের সময় ক্যাডার পদে যেমন পছন্দ নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়, তেমনই নন-ক্যাডার পদেও পছন্দের তালিকা নির্দিষ্ট করে দিতে পারছেন প্রার্থীরা। কিন্তু আবেদন করতে গিয়ে কিছু সমস্যায় পড়েন আবেদনকারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের কোড সংশোধন করল পিএসসি।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ক্যাডার পদের একটি কোড ও নন-ক্যাডার পদের দুটি কোড নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। রেলওয়ের সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী পদের কোড বাদ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে কিছু পদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয় কোড এবং লিখিত পরীক্ষার পদ–সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কোড নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। সব পদের সংশোধিত কোড নম্বর এই লিংকে পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন

৪৫তম বিসিএসের আবেদন শুরু হওয়ার পর কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ করেন, নবম গ্রেডের নন-ক্যাডার পদে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের কোড নম্বর ৫৬০১ উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু অনলাইনে আবেদন করার সময় এ পদের বিপরীতে কোড নম্বর দেখায় ৪৬০৫। আবার বিজ্ঞপ্তিতে ৪৬০৫ কোডটি ১০ম গ্রেডের লাইব্রেরিয়ান পদের ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। কোনটি সঠিক সেটি বোঝা যাচ্ছে না।

আবেদনকারীদের সমস্যা নিয়ে ১৩ ডিসেম্বর প্রথম আলোয় ‘৪৫তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে আবেদনে সমস্যা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএসসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আবেদনে কোড নম্বর ভুল পিএসসির বড় ধরনের ভুল। কারণ কোড নম্বরে ভুল থাকলে প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন না। প্রথম আলোর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি আমাদের নজরে এসেছে। এরপর আমরা সংশোধন করি। যাঁরা ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন তাঁদের ভুল হয়ে থাকলে সেগুলো সংশোধনের সুযোগ দেবে পিএসসি।’

৪৫তম বিসিএসে আবেদন করা যাবে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আবেদনের ফি ৭০০ টাকা। তবে কোটাধারীদের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে এবং প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর ও ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুলের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০.৫০ নম্বর করে কাটা যাবে।

৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এ ছাড়া পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪, প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে।