অন্য ধর্মের প্রার্থীর হাদিস বিষয়ে পাস করা নিয়ে যা বলল এনটিআরসিএ

এনটিআরসিএ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার যে ফল প্রকাশ করেছে, তাতে একজন নারী হিন্দু প্রার্থীর হাদিস বিষয়ে পাস করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা হচ্ছে। এনটিআরসিএ বলছে, এতে তাদের দায় নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে এটি ছড়িয়ে এনটিআরসিএকে বিতর্কিত করা হচ্ছে।

প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ এই প্রার্থীর নাম সুধা রানী, তাঁর পিতার নাম সুশীল চন্দ্র রায়। ফলাফলের ওয়েবসাইট অনুসারে প্রার্থীর বাড়ি লালমনিরহাট। ফলাফলের ওয়েবসাইটে দেখানো হচ্ছে তিনি হাদিস বিভাগে প্রভাষক পদের জন্য প্রার্থিতা করছেন। কীভাবে এটি সম্ভব, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

ফেসবুকে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছে এনটিআরসিএ। জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহিল আজম প্রথম আলোকে বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, ‘প্রার্থীর ভুলের দায় তো এনটিআরসিএ নিতে পারে না, তাই না? এই ভুলটি হয়েছে প্রার্থীর পর্যায় থেকে। অনেকে মনে করছেন এটি এনটিআরসিএ ভুল করেছে, আসলে তা ঠিক না।’

এনটিআরসিএ জানায়, ‘প্রার্থীরা আবেদন করেন। পরীক্ষা দেন। এ কাজটি হয় অনলাইনে। তাৎক্ষণিকভাবে এনটিআরসিএ এটি যাচাই করতে পারে না। প্রার্থী অনলাইনে আবদেন করার সময় হয়তো বিষয় সিলেক্ট করতে ভুল করেছেন, যেটি তিনি নিজেও জানেন না। এখন উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটি ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে। অযথা এনটিআরসিএকে দায়ী করা হচ্ছে। আসলে এখানে এনটিআরসিএর দায় নেই।’

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী। গতকাল বুধবার (১৫ মে) রাতে এ ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জনসহ সর্বমোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্বিক পাসের গড় হার ৩৫.৮০%।

আরও পড়ুন