৪৩তম বিসিএসের ভাইভার আগে ৪৪তম বিসিএসের খাতা দেখা শেষ করতে চায় পিএসসি
৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখার কার্যক্রম চালাচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রথম পরীক্ষকেরা এই বিসিএসের খাতা দেখার কার্যক্রম শেষ করেছেন। এখন কয়েক দিন ধরে এসব খাতা পিএসসি যাচাই করে তা দ্বিতীয় পরীক্ষককে দেওয়া শুরু করেছে। পিএসসি চাইছে ৪৩তম বিসিএসের ভাইভা শেষ করতে করতেই যেন এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সব খাতা দেখা শেষ করা যায়। এই লক্ষ্যেই পরীক্ষকদের সময়ও বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। পিএসসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথম পরীক্ষকেরা ৪৪তম বিসিএসের খাতা দেখা শেষ করেছেন। আমরা আবার সেগুলো যাচাই–বাছাই করছি। কয়েক দিন ধরে যাচাই করা এসব খাতা দ্বিতীয় পরীক্ষকেরা নিয়ে যাচ্ছেন। এ খাতা যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেওয়া শেষ করেন, সেটি খাতা দেখার সময় বলে দেওয়া হচ্ছে।’
পিএসসির আরেকটি সূত্র জানায়, বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখতেই সবচেয়ে বেশি সময় লাগে। এ ছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষক খাতা দেখার পর যদি খাতায় ২০ শতাংশ বা এর বেশি নম্বরের পার্থক্য থাকে তাহলে তা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যায়। এটিতেও সময় লাগে। এবার যাতে খাতা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দেখা শেষ করা যায়, সে বিষয়ে পিএসসি সচেষ্ট আছে। এই বিসিএসের খাতা দেখা এমনভাবে পিএসসি শেষ করতে চায় যাতে ৪৩তম বিসিএসের ভাইভা শেষ পর্যায়ে চলে আসে। পিএসসি চাইছে এর মধ্যে খাতা দেখা শেষ করতে পারলে ৪৩তম বিসিএসের ভাইভা শেষ করার পরপরই ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা শুরু করা যায়। এটি হলে সময় কমে আসবে।
৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর শুরু হয়, শেষ হয় এ বছরের জানুয়ারিতে। পিএসসি সূত্র জানায়, এই লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা সময়মতো শেষ করতে চায় পিএসসি। আর খাতা দেখায় যাতে পরীক্ষকেরা দেরি না করেন, সে জন্য তাঁদের খাতা সঠিক সময়ে জমা দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো পরীক্ষক সময়মতো খাতা জমা না দেন, তাহলে তাঁকে পরবর্তী সময়ে আর খাতা দেওয়া হবে না বলেও জানায় পিএসসির ওই সূত্র।
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। এরপর গত বছরের ২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ জন পরীক্ষার্থী পাস করেন। ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।