৪১তম বিসিএসের ১৭০টি সহকারী প্রকৌশলীর নন-ক্যাডার পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে নির্দেশ কেন নয়
৪১তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (৯ম গ্রেড) সহকারী প্রকৌশলী (পুরকৌশল) নন-ক্যাডার ১৭০টি পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী ও সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর মো. নয়ন হাসানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল বিভাগ থেকে পাস করা সাতজন আবেদনকারী ওই রিটটি করেন। তাঁরা ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন ও সোলায়মান তুষার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার।
৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল গত বছরের ৩ আগস্ট প্রকাশ করা হয় বলে জানান রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তবে যাঁদের বিসিএসে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি—এমন প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা নন-ক্যাডার পদের চাকরিতে আগ্রহী, তাঁদের কাছ থেকে আবেদন চেয়ে গত বছরের ২২ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তবে বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী প্রকৌশলীর (পুরকৌশল) নন–ক্যাডার কোনো পদের কথা উল্লেখ ছিল না। অথচ ৪১তম বিসিএস থেকে সহকারী প্রকৌশলী (পুরকৌশল) নন–ক্যাডার ১৭০টি পদের জন্য ইতিপূর্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছিল। ১৭০টি নন-ক্যাডার পদে আবেদন আহ্বান না করেই নন-ক্যাডার পদের চূড়ান্ত ফলাফল গত ৭ ডিসেম্বর প্রকাশ করে পিএসসি।’
চাহিদা ও যোগ্য প্রার্থী (নন–ক্যাডারভুক্ত সহকারী প্রকৌশলী) থাকা সত্ত্বেও নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন বলে জানান আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির।