গুগলে চাকরি পাওয়ার তিন যোগ্যতা কী, জানালেন সিইও
গুগলে চাকরি পাওয়ার জন্য যোগ্যতা হিসেবে ‘তিন শব্দের মানদণ্ডের’ কথা বলেছেন গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই। সম্প্রতি ‘দ্য ডেভিড রুবেনস্টেইন শো: পিয়ার টু পিয়ার কনভারসেশন’ শীর্ষক এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মানদণ্ডের কথা বলেছেন।
‘এন্ট্রি লেভেল’–এর চাকরি বা গুগলে শুরুর সময়ের চাকরির জন্য কেমন কর্মীর কোন কোন যোগ্যতা দেখা হয়, তা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে তাঁর এই মানদণ্ডের মধ্যে উচ্চ আইকিউ বা উচ্চ কাজের ভাগফলের বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
মার্কিন ব্যবসায়ী রুবেনস্টেইন সুন্দর পিচাইকে প্রশ্ন করেন, ‘কেউ যদি গুগলে চাকরি পেতে চান, তাহলে আপনার তাঁর কোন যোগ্যতা বিবেচনা করেন? উচ্চ আইকিউ বা উচ্চ কাজের ভাগফল বিবেচনা করেন? একজন এন্ট্রি-লেভেলের ব্যক্তির জন্য এখানে চাকরি পাওয়ার সেরা উপায় কী?’
২০০৪ সালে গুগলে পণ্য ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করে পরে প্রতিষ্ঠানটির সিইউ হওয়া সুন্দর পিচাই এর জবাবে বলেছেন, এটি বিভিন্ন বিষয়ের নির্ভর করে। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় আসেন, তাহলে আমরা একজন ভালো প্রোগ্রামার খুঁজি। কম্পিউটার সায়েন্স ভাল বোঝেন তাঁরা গতিশীলভাবে শিখতে এবং সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারেন। নতুন পরিস্থিতিতে নিজেকে কাজে লাগাতে পারেন।’
গুগলে চাকরির পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা হিসেবে সুন্দর পিচাই সুনির্দিষ্ট করে তিন শব্দের ছোট্ট একটি উত্তর দিয়েছেন। তিনি ‘সুপারস্টার সফটওয়্যার প্রকৌশলী’র কথা বলেছেন। তিনি শক্তিশালী প্রোগ্রামিং দক্ষতা, কম্পিউটার বিজ্ঞানের গভীর বোঝাপড়া, শেখা এবং মানিয়ে নেওয়ার ইচ্ছার ওপর জোর দিয়েছেন।
গুগল কেন কর্মীদের বিনা মূল্যে খাবার দেয়—এমন প্রশ্নের জবাবে সুন্দর পিচাই বলেছেন, এটি সহযোগিতামূলক এবং সৃজনশীল কাজের পরিবেশকে উত্সাহিত করে। তিনি বলেছেন, তাঁর নিজের অনেক উদ্ভাবনী ধারণা প্রতিষ্ঠানের ব্যস্ত ক্যাফেতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা থেকে সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সৃজনশীলতার জন্ম দেয় এবং আন্তসম্পর্ক জোরদার করে।
সুন্দর পিচাই বিশ্বাস করেন, কর্মীবান্ধব সুবিধা এবং উদ্যোগ প্রবর্তন করা কর্মক্ষেত্রের গতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। খরচের চেয়ে এসব সুবিধার গুরুত্ব অনেক বেশি।
ভারতের চেন্নাইয়ে জন্ম নেওয়া সুন্দর পিচাই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, খড়গপুরে পড়াশোনা করেছেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এবং স্টানফোর্ড থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ও হোয়ার্টন থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০১৫ সালে তিনি গুগলের সিইও হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৯ সালে গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেটের সিইও হন। প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য সুন্দর পিচাই অনেক স্বীকৃতি পেয়েছেন। এর মধ্যে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণ পেয়েছেন তিনি।