হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বাজার ১৫–২০% হারে বড় হচ্ছে

দেশের হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বাজার নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস বিভাগের পরিচালক ও ব্যবসাপ্রধান শাহরিয়ার বিন লুতফর

স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস বিভাগের পরিচালক ও ব্যবসাপ্রধান শাহরিয়ার বিন লুতফর

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: বাংলাদেশে স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের যাত্রা শুরুর প্রেক্ষাপট কেমন ছিল?

শাহরিয়ার বিন লুতফর: গত শতাব্দীর আশির দশকের শুরুতে বাংলাদেশে পণ্য আমদানির মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৯ সালে দেশে কার্যালয় স্থাপন করে পরিবেশকদের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকে দেশেই স্যামসাংয়ের পণ্য উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করি আমরা। বর্তমানে আমরা টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, এয়ার কন্ডিশনার (এসি), মুঠোফোনসহ বিভিন্ন হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য তৈরি করছি। সরাসরি আমদানির পরিবর্তে দেশে উৎপাদনের ফলে সরকারি কর সুবিধা পাওয়া যায়। ফলে গ্রাহকদের কাছেও তুলনামূলক কম দামে পণ্য পৌঁছে দিতে পারছি আমরা।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: দেশে হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যের বাজার কত বড়?

শাহরিয়ার বিন লুতফর: প্রচলিত তথ্য যা আছে তাতে বলা যায়, বর্তমানে হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বাজারের আকার বছরে ২১ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার। এই বাজার প্রতিবছর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে বড় হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৮০ শতাংশ হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য দেশেই তৈরি ও সংযোজন হয়।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: স্থানীয় বাজারে গ্রাহক পর্যায়ে স্যামসাংয়ের বর্তমান অবস্থান কেমন?

শাহরিয়ার বিন লুতফর: দেশে টেলিভিশন পণ্যের শীর্ষ বাজার স্যামসাংয়ের দখলে। এ ছাড়া রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রো ওয়েভ ওভেনের মতো পণ্যের জন্যও স্যামসাং গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখতে পেরেছে।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: আগামী ১০ বছরে দেশের হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাত কতটুকু সম্প্রসারিত হবে বলে মনে করেন?

শাহরিয়ার বিন লুতফর: দেশে হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাত একটি সোনালি যুগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত ১০ বছরে এটি ৬ থেকে ৮ গুণ বড় হয়েছে। আর পরবর্তী ১০ বছরে এটি বর্তমান অবস্থা থেকে আরও ৩-৪ গুণ বড় হবে। তখন টাকার অঙ্কে বছরে এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য বিদেশে রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে দু–একটি স্থানীয় কোম্পানি বিভিন্ন দেশে রপ্তানি শুরুও করেছে।