সিলেটে চালু হচ্ছে সীমান্ত বাজার
বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস নাগাদ সিলেট জেলায় প্রথমবারের মতো চালু হতে যাচ্ছে সীমান্ত বাজার (বর্ডার হাট)। জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে প্রতি সপ্তাহে এক দিন এ হাট বসবে। তবে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রয়োজনে একাধিক দিনও এ হাট বসতে পারবে।
আজ বুধবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। সীমান্ত বাজার নিয়ে সিলেটে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কমিটির দুই দিনব্যাপী বৈঠক শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সীমান্ত বাজারের ব্যাপারে বিস্তারিত বিষয় জানানো হয়।
মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এটিই হবে সিলেট জেলায় প্রথম কোনো বর্ডার হাট। উভয় দেশের সর্বোচ্চ ৫০ জন করে মোট ১০০ জন ব্যবসায়ী এ হাটে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এ হাট থেকে কী পরিমাণ সামগ্রী কেনা যাবে, তা পরবর্তী সময়ে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি বৈঠক করে নির্ধারণ করবে। হাটকে ঘিরে পূর্ণ নিরাপত্তাব্যবস্থাও থাকবে। এক দিনই এ হাট বসবে, তবে স্থানীয় ব্যক্তিদের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় নিয়ে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একাধিক দিনও হাট বসতে পারবে। এ ছাড়া আগামী বছর জেলার বিয়ানীবাজার ও কানাইঘাট উপজেলায়ও একই রকমভাবে পৃথক দুটি হাট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, সীমান্তবর্তী এলাকার দুই দেশের জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহজলভ্য করার মাধ্যমে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন সাধন করার উদ্দেশ্যেই দেশের বিভিন্ন সীমান্তে বর্ডার হাট চালু হয়েছে। একই ধারাবাহিকতায় ভোলাগঞ্জে হাট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী সাধারণ জনগণের সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক বন্ধনও দৃঢ় হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার সীমান্তবর্তী ওই হাটের স্থান পরিদর্শন করেন যৌথ কমিটির সদস্যরা। ১৭ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশের কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে ভারতের ১০ সদস্যের কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির বাণিজ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বৈদেশিক বাণিজ্য, দক্ষিণ এশিয়া) শ্রী ভূপিন্দর এস বাল্লা।