শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে: আনু মুহাম্মদ
বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বর্তমানে ২১ হাজার টাকা, কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ এর অংশীদার হতে পারছেন না। বর্তমান উন্নয়নের এটাই বৈশিষ্ট্য। এ কারণেই জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারিত হতে হবে। আর জাতীয় ন্যূনতম মজুরি দারিদ্র্যসীমার ওপর থাকতে হবে এবং সে হিসাবে ন্যূনতম মজুরি কোনোভাবেই ২৫ হাজার টাকার নিচে নির্ধারণ করা যায় না। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ তাঁর বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘আমরা এখন উন্নয়নের মহাসড়কে ছুটছি, কিন্তু শ্রমিকদের খাদ্যশক্তি ৩ হাজার কিলোক্যালরি থেকে নেমে ২ হাজার ২০০ কিলোক্যালরিতে ঠেকেছে। পোশাকশ্রমিকেরা অন্য খাতের শ্রমিকদের চেয়ে কিছুটা সংগঠিত, তারপরও তাঁদের পরিস্থিতির উন্নয়ন হয় না। অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের পরিস্থিতি অবর্ণনীয়।’
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘দ্রব্যমূল্য, শ্রমিকের জীবন মজুরি প্রশ্ন’ শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার সূচনা বক্তব্য উত্থাপন করেন এবং সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
মতবিনিময় সভায় খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ১৯৮০-এর দশকের শ্রমিকের সঙ্গে বর্তমানের শ্রমিকদের জীবন মানের তুলনা করলে হবে না। এখন মজুরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশের শ্রমিকের জীবন যাপনের মান বিবেচনা করতে হবে।