মোটরসাইকেল নিবন্ধন মাশুল 'যৌক্তিক' করার আশ্বাস
মোটরসাইকেলশিল্প খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি নির্ধারণের উদ্যোগ নেবে শিল্প মন্ত্রণালয়। বিষয়টি বাস্তবতার নিরিখে বিবেচনার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শিগগিরই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এসব কথা বলেন। অনলাইনে আজ মঙ্গলবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিমিহিকো কাতসুকি। বাংলাদেশের মোটরসাইকেলশিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে উপস্থাপনা তুলে ধরেন বাংলাদেশ হোন্ডার হেড অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল শাহ মুহাম্মদ আশিকুর রহমান।
এ সময় বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান মো. রইছ উদ্দিন, পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের উপদেষ্টা জামাল আবু নাসের চৌধুরী প্রমুখ অনলাইনে সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড পক্ষ থেকে দেশে মোটরসাইকেলশিল্পের সম্ভাবনা এবং এই শিল্পের টেকসই বিকাশের পথে বাধাগুলো তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে মোটরসাইকেলের যৌক্তিক নিবন্ধন ফি নির্ধারণ, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে মধ্যমেয়াদি শুল্ক ও করকাঠামো নির্ধারণ, নতুন কিছু অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামালে শুল্কসুবিধা প্রদান, সংযোগ শিল্পের উন্নয়নে পথনকশা তৈরি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় মোটরসাইকেল ক্রেতাদের জন্য ঋণ চালু ইত্যাদি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ বিশাল চাহিদার কথা বিবেচনা করে এ শিল্প খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। এ শিল্প খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের নীতিসহায়তা অব্যাহত থাকবে।
মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি যৌক্তিক পরিমাণে নির্ধারণের বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে মোটরসাইকেলশিল্প উন্নয়ননীতি প্রণয়ন করেছে। এর আওতায় উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিবন্ধন ফি নির্ধারণের কাজ চলছে। দ্রুত এর সমাধান হবে।