বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস–বাংলা এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হচ্ছে আরও পাঁচটি নতুন উড়োজাহাজ। আগামী বছরের শুরুতে এসব উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত হবে। নতুন এই পাঁচটি উড়োজাহাজের মধ্যে দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং তিনটি এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের। বর্তমানে বিমান সংস্থাটির বহরে সাতটি উড়োজাহাজ রয়েছে।
ইউএস–বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন উড়োজাহাজগুলো বহরে যুক্ত হলে আন্তর্জাতিক রুটে গন্তব্য বাড়াবে সংস্থাটি। ইউএস–বাংলা এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার পর এগুলো দিয়ে ভারতের চেন্নাই, শ্রীলঙ্কার কলম্বো ও মালদ্বীপের মালে রুটে উড্ডয়ন পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। এ তিনটি গন্তব্যই আন্তর্জাতিক রুটে ইউএস–বাংলার জন্য নতুন গন্তব্য। এ ছাড়া নতুন উড়োজাহাজ আসার পর বিদ্যমান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটেও উড্ডয়ন বাড়ানো হবে।
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ইউএস–বাংলার এয়ারলাইনসের যাত্রা শুরু হয়। ওই দিন এ বিমান সংস্থার প্রথম গন্তব্য রুট ছিল ঢাকা-যশোর-ঢাকা। এরপর অভ্যন্তরীণ রুটে পর্যায়ক্রমে উড্ডয়ন বাড়তে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে উড়তে শুরু করে ইউএস–বাংলার উড়োজাহাজ। বর্তমানে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ওমানের মাসকট, কাতারের দোহা, চীনের গুয়াংজু এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংকক রুটে চলাচল করছে প্রতিষ্ঠানটির উড়োজাহাজ । গত চার বছরে প্রতিষ্ঠানটি দেশে-বিদেশে ৫১ হাজার উড্ডয়ন পরিচালনা করেছে।
ইউএস–বাংলার উড়োজাহাজের নিরাপত্তা বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ বলেন, যেকোনো উড্ডয়নের আগে ৪০ মিনিট ধরে পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার পর প্রকৌশলীরা উড়োজাহাজটি পাইলটকে বুঝিয়ে দেন।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের পরিচালক মশিউল আজম বলেন, বহরে থাকা উড়োজাহাজগুলোয় তিনটি হাইড্রোলিক সিস্টেম আছে। উড্ডয়নের পর মূল সিস্টেমটি অকার্যকর হলে হাইড্রোলিক সিস্টেম কাজ করবে। এতে উড়োজাহাজে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে না।
জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি উড্ডয়নের আগে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। উড়োজাহাজ চালু হওয়ার আগে কোনো নিরাপত্তা ঘাটতি দেখা দিলে পাইলট সংশ্লিষ্ট উড়োজাহাজ পরিচালনা করেন না।