২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

প্রতিবন্ধী ভাতা বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করার প্রস্তাব

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাসিক ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা মাসিক ৭৫০ টাকা হারে ভাতা পান। এই ভাতা ১০০ টাকা বাড়িয়ে মাসিক ৮৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধী ভাতার উপকারভোগীর সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা বাবদ ২ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ২০ লাখ ৮ হাজার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে মাসিক ভাতা দেওয়া হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫৭ লাখ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাতে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৩ লাখ ৬৫ হাজারে।

ভাতা কর্মসূচির বাইরেও সরকার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি চালু করেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই উপবৃত্তির উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ। বার্ষিক বরাদ্দ ছিল ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। দেশের অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ও জীবন ঝুঁকি হ্রাসকল্পে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় ‘বঙ্গবন্ধু প্রতিবন্ধী সুরক্ষা বীমা’ চলতি বছরের জাতীয় বিমা দিবসে উদ্বোধন করা হয়েছে।

দুস্থ প্রবীণ ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় বয়স্ক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। বিধবা ও প্রবীণ নারীকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে ৫৭ লাখ ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এই খাতে ৩ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরেও এই বরাদ্দ চলমান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর-সংগৃহীত কর থেকে পাওয়া যাবে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা, এনবিআর-বহির্ভূত কর থেকে আসবে ১৮ হাজার কোটি টাকা আর কর ব্যতীত প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। ফলে, মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বাজেটে এ হার ছিল ৬ দশমিক ২। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে এ ঘাটতি মেটানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

ঘাটতির মধ্যে অনুদানসহ বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৯৮ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা; আর অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, এর মধ্যে আবার ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা।