ন্যাপকিনে ভ্যাট নিয়ে প্রচারণা মিথ্যা, বলছে এনবিআর
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু গণমাধ্যমে নারীদের ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট/মূসক) নিয়ে প্রচারণা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটি বলেছে, ন্যাপকিনের ওপর নতুন করে কোনো ভ্যাট আরোপ হয়নি। উল্টো ন্যাপকিন তৈরির উপকরণ আমদানিতে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক পুরোপুরি অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর ভ্যাট আরোপের ফলে এর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং কিছু ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে। এ বিষয়ে গত ২৮ জুন ‘দি সিক্সথ সেন্স’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করে। কিছু কিছু অনলাইন মাধ্যমে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর ৪০ শতাংশ মূসক আরোপ করা হয়েছে বলেও প্রচার করেছে, যা মিথ্যা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী প্রচারণা।
এনবিআর বলছে, বর্তমান সরকার নারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকটিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। তাই নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রজ্ঞাপনে (এস আরও নং-২৪০-আইন/২০১৯/৭৬-মূসক) দেশীয় স্যানিটারি ন্যাপকিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা উপকরণের ওপর প্রযোজ্য ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি প্রদান করা হয়। এতে দেশে উৎপাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম কমবে এবং স্বল্পমূল্যে নারীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
এনবিআর আরও বলেছে, স্যানিটারি ন্যাপকিন বা সমজাতীয় কোনো পণ্যের উপকরণের ওপর আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি প্রদান করার পরও কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য, দেশে এখন নয়টি প্রতিষ্ঠান স্যানিটারি ন্যাপকিন উৎপাদন করে। তাদের দাবি, মোট বাজারের ৯০ শতাংশ তাদের দখলে।