দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে ক্যাবের আহ্বান
পবিত্র রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। তারা বলেছে, ভোগ্যপণ্যের আমদানি ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করছে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী। তারা অতি মুনাফার লোভে সুযোগ পেলেই পণ্যের মূল্য বাড়ায়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আজ মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম, ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক মোবাশ্বের হোসেন প্রমুখ।
গোলাম রহমান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, নিত্যপণ্যের মজুত, উৎপাদন ও আমদানি সন্তোষজনক। তারপরও রোজার এক-দুই মাস আগেই পণ্যের দাম বেড়েছে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি গরুর মাংসে ৫০ টাকা, চিনিতে ৮, পেঁয়াজে ১৫ ও আমদানি করা রসুনে ১০ টাকা বেড়েছে। রোজা সামনে রেখে এই দাম বৃদ্ধির প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।
মোবাশ্বের হোসেন বলেন, দুনিয়াজুড়ে যখন পণ্য বিক্রি বেশি হয় তখন দাম কমে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি পণ্য বিক্রি হলেও দাম বাড়ানো হয়। তিনি বলেন, রোজার আগে বিভিন্ন পয়েন্টের চাঁদার হার বেড়ে যাওয়ার কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। যাদের এসব দেখা দরকার তারাও তখন চোখের অসুখে ভোগেন।
রমজান মাসে ধনী এলাকা ছাড়াও নিম্নবিত্ত পরিবার যেসব স্থানে বসবাস করেন সেসব এলাকায় তিতাসের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান শামসুল আলম। তিনি বলেন, সব জায়গা থেকে রেশনিং করে হলেও বাসাবাড়িতে গ্যাস দিন। প্রয়োজনে শহরে লোডশেডিং করে হলেও গ্রামগঞ্জে সন্ধ্যা ও ভোররাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পল্লি বিদ্যুতের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
এ ছাড়া ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, প্রতারণ থেকে রেহাই পেতে এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মতো সেবা পেতে ভোক্তাদের সচেতন হতে আহ্বান জানান শামসুল আলম। তিনি বলেন, সরকার এমন একটি প্রতিষ্ঠান যে বা যারা চাপ দিতে পারে তাদের পক্ষেই কাজ করে। তাই প্রতিবাদ করুন। সোচ্চার হোন।