দেশে চাল-গম-তেলের আমদানি বেড়েছে
করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমার পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পুরোদমে শুরু হওয়ায় বেড়েছে চাল, গম ও তেলের আমদানি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের জুলাই-ডিসেম্বরের চেয়ে ২০২১ সালের একই সময়ে চাল আমদানির ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে ৬০৯ শতাংশ। একই সময়ে গম ও ভোজ্যতেলের আমদানি ঋণপত্র বেড়েছে ৫৭ শতাংশ।
এই সময়ে, চাল, গম ও তেলের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে যথাক্রমে ৩২ হাজার ১০৯ ও ৯০ কোটি ডলারের।
গত বছরের জুলাই-ডিসেম্বরে মোট আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৪ হাজার ৪০৮ কোটি ডলারের, যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৩ হাজার ৮৩৯ কোটি ডলারের পণ্যের; আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি।
চাল, গম, তেলের পাশাপাশি ওষুধ আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। করোনাকালে ওষুধের চাহিদা বাড়ায় আমদানি ঋণপত্র বেড়েছে ৮২৬ শতাংশ। এই সময়ে মোট ৫৬ কোটি ডলারের ওষুধ আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে।
দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হওয়ায় আমদানি কমেছে ২৪ শতাংশ। এ ছাড়া ডালজাতীয় শস্য ও দুগ্ধজাত খাবারের আমদানি কমেছে যথাক্রমে ১৪ ও ১৩ শতাংশ।
তবে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হওয়ায় আমদানি কমেছে ২৪ শতাংশ। এ ছাড়া ডালজাতীয় শস্য ও দুগ্ধজাত খাবারের আমদানি কমেছে যথাক্রমে ১৪ ও ১৩ শতাংশ।
এদিকে দেশের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি। গত জুলাই-ডিসেম্বরে মূলধনি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৩২৮ কোটি ডলারের, যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ৩২ শতাংশ বেশি। শিল্পবান্ধব পরিবেশ ফিরে আসায় বিবিধ শিল্প যন্ত্রপাতির আমদানি ঋণপত্রও বেড়েছে ৫১ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের ধকল কাটিয়ে দেশের প্রায় সব শিল্প-কারখানা উৎপাদন ফিরে আসায় ওষুধের কাঁচামাল, রাসায়নিক পণ্য, মধ্যবর্তী পণ্য, কয়লা, সিমেন্ট, কাগজ ও ক্লিংকারের মতো পণ্যের আমদানিও বেড়েছে।
রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতে গতি আসায় টেক্সটাইল ফেব্রিকস ও গার্মেন্টস মালামালের আমদানি ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে ৫২ শতাংশ। এই সময়ে সুতার ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে ১৩৩ শতাংশ।
এ ছাড়া করোনাভাইরাসের ধকল কাটিয়ে দেশের প্রায় সব শিল্প-কারখানা উৎপাদন ফিরে আসায় ওষুধের কাঁচামাল, রাসায়নিক পণ্য, মধ্যবর্তী পণ্য, কয়লা, সিমেন্ট, কাগজ ও ক্লিংকারের মতো পণ্যের আমদানিও বেড়েছে।