দেশে গরু, ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে
এক যুগের ব্যবধানে দেশে গরু ও ছাগলের সংখ্যা বেশ বেড়েছে। গরুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ লাখ, আর ছাগল বেড়েছে প্রায় ৬১ লাখ। গরু-ছাগলে দেশ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা চলে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষিশুমারির প্রাথমিক ফলাফলে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
বিবিএস ২০২০ সালে কৃষিশুমারি করেছে। সম্প্রতি বিবিএস এই শুমারির প্রাথমিক ফলাফল নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
বিবিএসের শুমারি অনুযায়ী, দেশে এখন গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৪০ লাখ ১৪ হাজার ১৪৪। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৫৭ হাজার ৮৫৩। এক যুগের ব্যবধানে গরু বেড়েছে ৪০ লাখের বেশি। অন্যদিকে দেশে বর্তমানে ছাগলের সংখ্যা ১ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ২০০। এক যুগ আগে ছাগলের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৯।
বিবিএসের কৃষি শাখার পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, দুটি শুমারি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এক যুগের ব্যবধানে দেশে গরু-ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে। এর মানে, দেশ পশুসম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে।
গরু–ছাগল ছাড়াও বিবিএসের ওই প্রতিবেদনে ভেড়া ও মহিষের হিসাবও দেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভেড়া উৎপাদন বেশ বেড়েছে। এর ফলে ভেড়ার সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৬১৯ হয়েছে। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৭৮ হাজার ১৭। অবশ্য সরকার ভেড়া উৎপাদনে খামারিদের উৎসাহিত করতে নানা প্রকল্প নিয়েছে।
অন্যদিকে মহিষের সংখ্যাও বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। দেশে এখন ৬ লাখ ২৯ হাজার ৬৪০টি মহিষ আছে। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩১ হাজারের মতো। সব মিলিয়ে সারা দেশে দুধ দেয় এমন গরু, মহিষ ও ছাগল আছে ১৮ লাখের মতো।
এক যুগের ব্যবধানে হাঁস-মুরগি, পাখিসহ বিভিন্ন ধরনের পাখপাখালি পালনও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। দেশে প্রায় ১৪ কোটির বেশি দেশি ও ব্রয়লার মুরগি আছে। হাঁস আছে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। এক যুগে ব্যবধানে হাঁসের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
অন্যদিকে মাছ চাষেও ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে। একই সময়ের ব্যবধানে মাছ চাষের জলাশয়ের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। শুমারির ফলাফল অনুযায়ী, ২০২০ সালে দেশে প্রায় ১১ লাখ একর জলাশয়ে মাছ চাষ হয়েছে। এক যুগ আগে সোয়া পাঁচ লাখ একর জলাশয়ে মাছ চাষ হতো।