তিন তরুণ বিজ্ঞানী পেলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী পুরস্কার
দেশের ওষুধশিল্প প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যামসন এইচ চৌধুরীর স্মরণে আজ শনিবার ‘মেমোরিয়াল কনফারেন্স ২০১৯’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হোটেল প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিন তরুণ বিজ্ঞানীকে ‘স্যামসন এইচ চৌধুরী অ্যাওয়ার্ড ফর ইয়াং সায়েন্টিস্ট পুরস্কার’ তুলে দেওয়া হয়।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের উন্নয়নে প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর অবদান স্মরণ করেন। জ্ঞানচর্চা বিকাশে এবং স্বাস্থ্য খাতের উন্নতিতে শিক্ষাবিদ, সরকারি ও বেসরকারি খাতের মেলবন্ধন তৈরিতে তাঁর প্রয়াসকে সম্মান জানিয়ে আয়োজিত হয় এই দ্বিবার্ষিক মিলনমেলা।
এবারের সম্মেলন তিনটি অধিবেশনে বিভক্ত ছিল। প্রথম অধিবেশনে ওষুধশিল্পের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান। তিনি এই অধিবেশনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। দ্বিতীয় অধিবেশনের আলোচ্য বিষয় ছিল ওষুধশিল্পের ভবিষ্যৎ নির্মাণে শিল্প এবং গবেষণা খাতের সহযোগিতা। এটির প্রধান বক্তা ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের টেকনিক্যাল অপারেশন বিভাগের পরিচালক নওয়াবুর রহমান। তৃতীয় অধিবেশনের বক্তা সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে গবেষণা ও অবদান রাখায় তিন বিজ্ঞানীকে এ বছর এ সম্মানিত করা হয়। তরুণ বিজ্ঞানীদের হাতে ‘স্যামসন এইচ চৌধুরী অ্যাওয়ার্ড ফর ইয়াং সায়েন্টিস্ট পুরস্কার’ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রওনক জাহান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হোসেন শাহরিয়ার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আনোয়ার সিদ্দিক।