চট্টগ্রামে ৩০ টাকার বেশি দামে লবণ বিক্রি করলে শাস্তি
গুজব ছড়িয়ে প্রতি কেজি লবণ ৩০ টাকার বেশি দামে বিক্রি করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন। তিনি বলেন, দেশে লবণের কোনো স্বল্পতা নেই। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের লবণ দিয়েই সারা দেশ প্রায় তিন মাস চলতে পারবে। গতকাল বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে লবণ মিলের মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত সভায় জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
বাজারে লবণের স্বল্পতা সম্পর্কে ছড়ানো গুজবে কান না দেওয়ার জন্য জনসাধারণকে পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে।
গতকাল থেকেই খোলাবাজারে ১৫ টাকা দরে লবণ বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘খুচরা বাজারে কোথাও ৩০ টাকার বেশি দরে লবণ বিক্রি করা যাবে না। আর ক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, কেউ ৩০ টাকার বেশি টাকা দিয়ে লবণ কিনবেন না। আগামী ছয় মাসের মধ্যে লবণের সংকট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।’
সভায় উপস্থিত লবণ মিলের মালিকেরাও যাঁরা বেশি দামে লবণ বিক্রির চেষ্টা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
দাম বাড়ানোর গুজব সরকারকে বিব্রত করতে এবং লবণ মিলের মালিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে পটিয়া লবণ মিল মালিক সমিতির সহসভাপতি ও পটিয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের স্থানীয় লবণ ২০ টাকার ওপর বিক্রি করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। মজুত থাকার পরেও কেন সংকটের কথা আসবে? চলতি মৌসুমে ৬ টাকা ৩৭ পয়সা দামে লবণ কিনেছেন বলে জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশিদ। তিনি বলেন, ‘জানুয়ারি থেকে এপ্রিল হলো লবণ উৎপাদনের মাস। আর বাকি ছয় মাস বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লবণ বাজারজাত করা হয়।’ সভায় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।