চট্টগ্রামে আবাসন মেলা শুরু
চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী আবাসন মেলা। নগরীর র্যাডিসন ব্লু হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার এ মেলা শুরু হয়েছে। এবারের মেলায় এক ছাদের নিচে ২৯টি আবাসন প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮০০টি প্রস্তুত ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য প্রদর্শন করছে। এমনকি নতুন এসব ফ্ল্যাটের জন্য বুকিংও নেওয়া হচ্ছে।
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) ১৪তম বারের মতো এই মেলা আয়োজন করেছে। মেলার এবারের স্লোগান ‘স্বপ্নিল আবাসন সবুজ দেশ, লাল সবুজের বাংলাদেশ’। এমন সময়ে মেলা আয়োজন করা হয়েছে, যখন মহামারির ধাক্কা সামলে চট্টগ্রামে এই খাতে সুদিন ফিরেছে।
মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের ৭১টি স্টল রয়েছে। আবাসন প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ভবন নির্মাণসামগ্রী ও ঋণদাতা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। গতকাল দুপুরে মেলার উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রিহ্যাবের সভাপতি শামসুল আল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, রিহ্যাবের সহসভাপতি কামাল মাহমুদ, চট্টগ্রাম কমিটির সভাপতি আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আগামীতে পরিকল্পিত শিল্প এলাকা ছাড়া বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। সুতরাং যত্রতত্র বাণিজ্যিক স্থাপনা করবেন না।’
রিহ্যাব চট্টগ্রাম কমিটির সভাপতি আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেলার আগেই এ বছর আবাসন খাতে বিক্রির হার বিগত আট বছরের তুলনায় বেশি ছিল। ফলে এবারের মেলায় ফ্ল্যাট বুকিং ও বিক্রি প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।’ তিনি বলেন, এবার মেলায় যেসব প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, তাদের হাতে অন্তত ৮০০টি প্রায় প্রস্তুত ফ্ল্যাট রয়েছে।
চার দিনব্যাপী এই মেলা চলবে আগামী রোববার পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা। মেলায় একবার প্রবেশমূল্য রাখা হয়েছে ৫০ টাকা এবং মাল্টিপল টিকিটে চারবার প্রবেশ করা যাবে ১০০ টাকায়।
মেলায় অংশ নেওয়া আবাসন প্রতিষ্ঠান সিপিডিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত শ্রেণির গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে প্রকল্প হাতে নিয়েছি আমরা। প্রতিটি প্রকল্পে সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে নতুনত্ব আনা হয়েছে।’
মেলায় অংশ নেওয়া জুমাইরা হোল্ডিংসের হাতে অবশ্য প্রস্তুত ফ্ল্যাট নেই। মেলায় তারা আটটি নতুন অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প তুলে ধরছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে জানান, তাঁদের সবই বিলাসবহুল প্রকল্প। প্রকল্প হাতে নেওয়ার পর বিক্রি করতে খুব বেগ পেতে হচ্ছে না।