করোনায় কমেছে স্থলবন্দরগুলোর আয়
স্থলবন্দরগুলোতে রাজস্ব আয় কিছুটা কমে গেছে। করোনার কারণে স্থলপথে পণ্য চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় আয় কমেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আদায় কমেছে ২২ কোটি টাকা। শুধু বেনাপোল স্থলবন্দরেই রাজস্ব কমেছে ১১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বেনাপোল, বুড়িমারী, আখাউড়া ও ভোমরাসহ দেশের ১২টি স্থলবন্দর থেকে সব মিলিয়ে ১১৫ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এর আগের ২০২০-২১ সালের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১৩৭ কোটি টাকা।
স্থলবন্দরগুলো সাধারণত পণ্যবাহী ট্রাকের অবস্থান, ওজন, গুদাম ভাড়াসহ বিভিন্নভাবে মাশুল আদায় করে থাকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এসব বন্দর থেকে সব মিলিয়ে ২৪০ কোটি টাকা আয় করেছিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
গত ছয় মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল থেকে। এই বন্দর থেকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ পেয়েছে ৩১ কোটি টাকা। তবে ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে বেনাপোল থেকে ৪২ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরে আলোচ্য সময়ে আদায় হয়েছে ২৭ কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ১০ কোটি টাকা কম। আখাউড়া ও ভোমরা স্থলবন্দর থেকে যথাক্রমে ১৫ কোটি ও ১৬ কোটি টাকা আয় হয়েছে। এ ছাড়া নাকুগাঁও, তামাবিল, সোনাহাট, সোনামসজিদ, হিলি, টেকনাফ, বিবিরবাজার ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের মধ্যে কোনোটির আয়ই ১০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়নি।
শঙ্কা জাগাচ্ছে নতুন সংক্রমণ
করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজস্ব কমার নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, সংক্রমণের প্রভাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বিঘ্নিত হলে স্থলবন্দরগুলোর আয়ও কমে যেতে পারে। ২০২০-২১ অর্থবছরে অবশ্য করোনা শুরু হওয়ার পর কখনোই স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। সীমিত পরিসরেও কার্যক্রম চলেছে। এবার নতুন ঢেউয়ের মধ্যেও কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক আছে। তবে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ আছে। যেমন, দুই সপ্তাহ আগে ভারত থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে চালকের সহকারী আসতে পারছেন না। শুধু ট্রাকচালক সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারছেন। তাঁদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে কঠোর হয়েছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ সম্পর্কে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক ডি এম আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগের লকডাউন বা বিধিনিষেধের সময়ও আমদানি-রপ্তানি তেমন একটা বিঘ্নিত হয়নি। এবারও হবে না আশা করছি। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। তাই রাজস্ব আদায়েও খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।’