এবার সুকুক বন্ড ছেড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা তুলবে বেক্সিমকো
এবার বেসরকারি পর্যায়ে প্রথমবারের মতো সুকুক বন্ড ছাড়ার অনুমোদন পেল বেক্সিমকো লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড ছেড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এ টাকায় বেক্সিমকো তাদের টেক্সটাইল ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আজ বুধবারের সভায় শর্ত সাপেক্ষে বন্ডটির অনুমোদন দেওয়া হয়। বেসরকারি পর্যায়ে এটিই প্রথম সুকুক বন্ড। এর আগে সুকুক বন্ড ছেড়ে সরকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ৮ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। এরই মধ্যে দুই দফায় সেই অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।
বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শর্ত সাপেক্ষে বন্ডটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শর্তের মধ্যে রয়েছে বন্ডের অনুমোদনের সম্মতিপত্র পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যে প্রস্তাবিত সুকুকের ট্রাস্টি নিবন্ধন সনদ ও বিএসইসি অনুমোদিত ট্রাস্ট ডিডসহ সাবস্ক্রিপশন চুক্তি জমা দিতে হবে। বন্ডটির ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে। বাকি ৭৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কোম্পানিটি যে টাকা সংগ্রহ করবে, তার মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা নেওয়া হবে বিদ্যমান শেয়ারধারীদের কাছ থেকে। বাকি ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে অন্যান্য বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে।
সুকুকটির প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। বন্ডটির ন্যূনতম লট হবে ৫০টি ইউনিটে। একজন বিনিয়োগকারী ন্যূনতম ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন এ বন্ডে। বন্ডের টাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি। এ কারণে বন্ডটিকে গ্রিন বন্ড হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। বিএসইসি বলছে, এটিই দেশের প্রথম গ্রিন বন্ড।