এক হালি পেঁয়াজ ৪০ টাকা
ফেনীর সোনাগাজীতে এবার ৪০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এবার একটি ডিমের চেয়েও বেশি দামে একটি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন দোকানে এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর শহরের বিভিন্ন দোকানে ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। কিছু ব্যবসায়ী আবার ১৩৫-১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে গ্রামের বাজারগুলোতে নিম্ম আয়ের মানুষগুলো ৪০ টাকা হালিতে কিনছেন পেঁয়াজ। সেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকায়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফেনীর পাইকারি বাজারের বিক্রেতাদের কাছ থেকে তাঁরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে আনছেন। পরিবহন ও শ্রমিকের মজুরিসহ প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম প্রায় ১১৫-১১৮ টাকাও বেশি পড়ে যায়। কোনো কোনো দিন পাইকারি বাজার থেকেও ১২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পযর্ন্ত পৌর শহর ও উপজেলার ওলামাবাজার, জমদার বাজার, কারামতিয়া বাজার, কাজীর হাট, বক্তারমুন্সি বাজার, মতিগঞ্জ আমির উদ্দিন মুন্সির হাট, সোনাপুর বাজার ঘুরে পেঁয়াজ ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সঙ্গ সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় অনেক ব্যবসায়ী আপতত পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
আবু সুফিয়ার নামে শ্রমিক বলেন, পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় গতকাল সকালে তিনি উপজেলার জমদার বাজার থেকে ৪০ টাকা দিয়ে ৪টি পেঁয়াজ কিনেছেন। তিনি বলেন, গত রোববার এক কেজি আলু কিনেছেন ১৮ টাকায় আর সে আলু গতকাল কিনেছেন ২৫ টাকা দিয়ে। ১০ টাকার ধনিয়া পাতা কিনেছেন ২০ টাকায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অজিত দেব বলেন, পেঁয়াজের দাম নিম্ম আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারগুলোতে তদারকি করা হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি পড়ায় তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। কেউ কেউ অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছে বলেও তিনি শুনেছেন।