এ বছর ব্যাংক ভালো ব্যবসা করতে পারেনি

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে ব্যবসা–বাণিজ্য। চলতি বছর ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি যেমন হয়েছে, তেমনি কাঁচমালের মূল্যবৃদ্ধি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে এসেছে। আবার নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে অমিক্রন। বছরটি কেমন গেল, তা নিয়ে শিল্প ও ব্যবসা–বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছয়জনের অভিমত ছাপা হলো আজ। কথা বলেছেন সানাউল্লাহ সাকিব।

২০২১ সালটি ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য ও নাগরিক জীবনের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা আমাদের গন্তব্যের পথে এগিয়ে যাব। বছরটিতে দেশের ব্যাংক খাতে আমরা যা আশা করেছিলাম, তা পাইনি। করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ঠিকমতো হয়নি। যেগুলো একটু দুর্বল প্রতিষ্ঠান, সেগুলো আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চলতি বছর। সে কারণে সব ব্যাংক ভালো করতে পারেনি।

অবশ্য যেসব ব্যাংকের গ্রাহক ভালো ছিল এবং হিসাবনিকাশ করে পরিচালনা করেছে, তারা কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল। ব্যাংকিং খাতে চলতি বছর আমরা অনেকটা নমনীয় ছিলাম। বিভিন্ন সময় আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছি। কাগজপত্রেও অনেক ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছি। কম গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথিপত্র যাচাই-বাছাইয়ে যাইনি।
আশা করছি, সামনের বছর ভালো যাবে। তাতে হয়তো খেলাপি ঋণ কিছুটা বাড়তে পারে। তারপরও আমরা দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে পারব। করোনা আমরা যেভাবে মোকাবিলা করেছি, তাতে অনেক কিছুই আমরা শিখেছি। সেটি কাজে লাগিয়ে আশা করছি লাভবান হওয়া যাবে।

আরও পড়ুন

করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্য যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য সরকার প্রণোদনা দিয়েছে। সেই অর্থ আমরা ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছি। আশা করছি, যে পরিমাণ প্রণোদনার অর্থ আমরা বিতরণ করেছি, তার সবই আমরা আদায় করতে পারব। সরকার করোনার ধাক্কা যেভাবে সামাল দিয়েছে, তা অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। করোনার মধ্যে আমাদের অর্থনীতির বড় একটি শক্তির জায়গা ছিল প্রবাসী আয়। বিদেশে থাকা আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা দুই হাত উজাড় করে করোনাকালে দেশে অর্থ পাঠিয়েছেন। এ সময় অনেক প্রবাসী কাজ হারিয়ে দেশে ফেরতও এসেছেন। আমরা আশা করব, সরকার এখন সেসব প্রবাসী ভাইকে বিদেশ তথা তাঁর কর্মস্থলে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেবে।

এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে। খুলনা থেকে চট্টগ্রামে কাঁচামাল পাঠাতে হলে এখনো দুই দিন লেগে যায়। পদ্মা সেতু হলে যোগাযোগব্যবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে। কিন্তু তার আগেই যদি যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো যায়, তাহলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য তা সুফল বয়ে আনবে। রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতি করতে না পারলে ব্যবসা-বাণিজ্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আমার প্রত্যাশা থাকবে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতির।