শপআপ, যাত্রী, প্রোটিন মার্কেট, ট্রাক লাগবে ও চালডালের পর পোশাক খাতের বিটুবি মার্কেটপ্লেস ও সফটওয়্যার সেবাবিষয়ক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট বে ২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে, দেশীয় মুদ্রায় যা ২ কোটি ২১ লাখ টাকার সমান।
মার্চেন্ট বে গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। তারা বলেছে, প্রি-সিড রাউন্ডে ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এনজেল বিনিয়োগ পেয়েছে মার্চেন্ট বে। এই অর্থ পোশাক খাতের জন্য বিজনেস ইন্টেলিজেন্স সলিউশন, স্মার্ট ফ্যাক্টরি ম্যানেজমেন্ট টুলস ও বহুমাত্রিক প্ল্যাটফর্ম সেবার উন্নয়নে ব্যবহার করবে প্রতিষ্ঠানটি।
পোশাক রপ্তানির সঙ্গে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে যুক্ত সায়েম গ্রুপের উদ্যোগে মার্চেন্ট বে চালু হয়। ই-বিটুবি এই প্ল্যাটফর্মে এখন পর্যন্ত পোশাক ও বস্ত্র খাতের ১ হাজার ৩৭০ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ২০-২৫টি বিদেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট বের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছে।
কয়েক বছর ধরেই ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের ব্যবসার ধরন বদলে যাচ্ছে। নতুন নতুন উদ্ভাবনের কারণে দ্রুত ফ্যাশনে পরিবর্তন আসছে। ক্রেতারা নতুন প্রতিষ্ঠানে ক্রয়াদেশ দেওয়ার আগে অনলাইনে দেখে নিতে চায়। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের একটি প্রোফাইল থাকলে ক্রেতা পেতে সহায়ক হয়। সেই ধারণা নিয়ে এক বছর ধরে কাজ করার পর গত বছর আত্মপ্রকাশ করে মার্চেন্ট বে। প্ল্যাটফর্মটিতে যুক্ত হতে সরবরাহকারী ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনেই বিনা মূল্যে নিবন্ধন করতে হয়। পরে মার্চেন্ট বের কর্মীরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
মার্চেন্ট বের ওয়েবসাইটে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের একটি প্রোফাইলের পাশাপাশি কয়েকটি পণ্যের ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য থাকে। তাতে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো সহজেই তাদের কাঙ্ক্ষিত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান খুঁজে নিতে পারে। ক্রেতা চাইলে প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয়াদেশ দিতে পারবে। আবার মার্চেন্ট বে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেও ক্রয়াদেশ দেওয়ার সুযোগ আছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি অনেকটা বায়িং হাউসের মতো ক্রেতার হয়ে কাজ করবে।
জানতে চাইলে মার্চেন্ট বের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবরার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মার্চেন্ট বের মাধ্যমে পাওয়া ৫ লাখ ডলারের পোশাক ক্রয়াদেশ প্রক্রিয়াধীন। তা ছাড়া আমাদের প্ল্যাটফর্মে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নতুন নতুন বিদেশি ক্রেতার যোগাযোগ হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত করেছি।’
এদিকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সাড়ে সাত কোটি মার্কিন ডলার বা ৬৪০ কোটি টাকার বড় বিনিয়োগ পায় শপআপ। দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক স্টার্টআপ যাত্রী ১২ লাখ ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ পায়। ৮৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ পায় অনলাইনে দৈনন্দিন বাজারসদাইয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালডাল। আর তৃতীয় সপ্তাহে ৪০ লাখ ডলারের ইক্যুইটিভিত্তিক বিনিয়োগ পায় অ্যাপভিত্তিক ট্রাক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘ট্রাক লাগবে’। গত মাসে প্রায় কোটি টাকার এনজেল বিনিয়োগ পায় স্টার্টআপ প্রোটিন মার্কেট।