একজন প্রকৌশলীর ব্যবসায়ী হওয়ার গল্প
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে পাস করেছিলেন ১৯৭৭ সালে। বিষয় ছিল পুরকৌশল বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। তখন প্রকৌশলীদের চাকরি পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ ছিল। এমনকি দেশের বাইরে কাজ করার সুযোগও পাওয়া যেত। সদ্য পাস করা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আউয়াল এ দুটোই করেছেন। চাকরি করেছেন, এক কথায় চাকরি ছেড়েছেনও। বিদেশ গেছেন, আবার ফিরেও এসেছেন। সেসব ঘটনাও কম চমকপ্রদ নয়। সবশেষে থিতু হয়েছেন আবাসন ব্যবসায়। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দ্য স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এখন আবাসন খাতের একটি বড় নাম। পান্থপথের অফিসে বসে সেই গল্পই শোনালেন তিনি।
আকাঙ্ক্ষা ছিল বুয়েটেই শিক্ষকতা করবেন। কিন্তু প্রথম শ্রেণি পাননি বলে সেই সুযোগ হয়নি। প্রথম চাকরি ছিল নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রানা কনস্ট্রাকশনে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে। চাকরিজীবনের প্রথম প্রকল্পই ছিল বুয়েটের মিলনায়তন কমপ্লেক্স নির্মাণ। প্রকল্প তদারকির দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক আলী মুর্ত্তাজা। কাজের সময়েই তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, কেন বুয়েটে যোগ দিচ্ছেন না। যখন শুনলেন প্রথম শ্রেণি পাননি, বেশ অবাক হয়েছিলেন।
জহুরুল ইসলামের বিডিসি তখন আবুধাবিতে নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সেখানে নিয়োগ পেলেও আবুধাবিতে গেলেন না। এরপর চাকরিটা ছিল অনেকের কাছেই বেশ লোভনীয়। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী প্রকৌশলী পদে। আর পোস্টিং হলো চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের কার্যালয়ে। ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল আউয়াল সেই ঘটনার কথা নিজেই জানালেন। বললেন, ‘জায়গাটা বাণিজ্যিক এলাকা। তাই যেকোনো বিচারেই এটা ছিল অত্যন্ত লোভনীয় একটা পোস্টিং। কেন লোভনীয় সেটা আর ব্যাখ্যা করলাম না। সেখানে যাই ১৯৭৭ সালেরই ৯ নভেম্বর। পরদিনই দায়িত্ব নেওয়ার পালা। কিন্তু যাঁর কাছ থেকে দায়িত্ব নেব, তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তখন রুমের উল্টো পাশে বসে ঘণ্টাখানেক চিন্তা করলাম, কী করা উচিত। মনে হলো এই চাকরি আসলে আমার জন্য না। তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম এই চাকরি করব না। ওই দিনই ঢাকায় ফিরে এলাম।’
জীবনের প্রথম সেরা সিদ্ধান্ত
ঢাকায় ফিরে আবার চাকরি খোঁজার পালা। আগ্রহ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চাকরি। সেখানেও একটা ধাক্কা। তখন প্রকৌশল সংসদ নামের একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ছিল ড. আলিমুল্লাহ খানের। সেখানে ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ বললেন, সেকেন্ড ক্লাস পেয়ে কী করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে চাকরি হবে। এই কথায় জেদ চেপে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানেই চাকরি হয় তাঁর। একই সময়ে তাঁর দুটি চাকরি হয়েছিল। এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্ট অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের (ইসিএ) অফিস ছিল সিটি কলেজের পাশেই ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কে, আর বাংলাদেশ কনসালট্যান্ট লিমিটেডের (বিসিএল) অফিস দিলকুশায়। তখন তিনি থাকতেন এলিফ্যান্ট রোডে।
তবে যোগ দিলেন দূরের অফিসটাতেই। খোঁজ নিয়েছিলেন কাদের হাতে ভালো প্রকল্প আছে, কোথায় কাজ করার সুযোগ বেশি, কাদের সঙ্গে কাজ করবেন। আজও তিনি মনে করেন, ১৯৭৮ সালে বিসিএলে যোগ দেওয়া ছিল তাঁর জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত।
বিসিএলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এম মুহিবুর মজিদ। তিনি ১৯৩৫ সালে শিবপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছিলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত আরেকটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে দা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। দুটি প্রতিষ্ঠানই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে কাজ করলেও এম মুহিবুর মজিদ ছিলেন একজন তড়িৎ প্রকৌশলী। সেখানে যোগ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই জীবনের অন্যতম বড় শিক্ষাটা তিনি পান।
তাঁর মুখ থেকেই শোনা যাক, ‘চট্টগ্রামে ড্রাইডক লিমিটেডে সমুদ্রগামী জাহাজ মেরামতের কাজ করা হয়। সেই ড্রাইডকের সাড়ে চার ফুট প্রস্থের কংক্রিটের দেয়াল ফেটে পানি ঢুকছিল। তখন বিসিএল আর ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আরপিটি জায়গাটি পরিদর্শন করে একটি রিপোর্ট দিয়েছিল। সেই ফাটল মেরামতের কাজ তদারকির জন্য আমাকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হলো। যাওয়ার আগের দিন এম মুহিবুর মজিদের সামনে পড়ে গেলাম। জানতে চাইলেন, দেয়াল কেন ফেটে গেছে, সেটা আমি জানি কি না। আমি তখনো জানতাম না। তারপর তিনি রিপোর্টটা আনালেন। আমাকে দিয়ে বললেন পুরোটা পড়তে। আর বললেন, জানার কোনো শেষ নেই সেটা ঠিক আছে। কিন্তু যতটুকুই শিখবে, তা শেখার মতো করেই শিখবে, যা জানবে, তা পুরোপুরিই জানবে। যা শুনবে কান খুলে শুনবে, যা দেখার তা চোখ খুলেই দেখবে।’
এই বিসিএল থেকেও এককথায় পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। এর পেছনে আছে মজার এক গল্প। মো. আব্দুল আউয়ালের কাজ ছিল তখন একাধিক প্রকল্পে। সকালেই প্রকল্প এলাকায় চলে যেতেন, সেখান থেকে কোনো এক সময়ে প্রধান কার্যালয়ে যেতেন। প্রধান কার্যালয়ে গেলে হাজিরা খাতায় সই করতেন। হঠাৎ একদিন দেখলেন, তাঁর নামের পাশে পেনসিল দিয়ে ছোট করে ‘এ’ লেখা, অর্থাৎ অ্যাবসেন্ট বা অনুপস্থিত। তিনি সেখানেই সই করে দিয়েছিলেন। পরদিন আবারও নামের পাশে ‘এ’, এবার কলমের কালি দিয়ে লেখা। আবারও সেখানে সই করে রাখলেন। পরের দিন লাল কালিতে ‘এ’ লেখা। চাকরিজীবনে লাল কালির দাগ পড়বে, সেটা তিনি মানতে পারলেন না। সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগপত্র দিয়ে দিলেন। পদত্যাগ করলেও সেবার অবশ্য তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি।
ইরাক থেকে যেভাবে ফিরে এলেন
ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল আউয়াল বিসিএলে চার বছর কাজ করেন। এরপরই একটি জাপানি কোম্পানির হয়ে ইরাকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সময়টা ছিল ১৯৮১ সালের অক্টোবর মাস। ভেবেছিলেন দেশের গণ্ডির বাইরে নতুন কিছু কাজ করার সুযোগ পাবেন। তবে ভাবনাটা ভুল ছিল। কতজন ইঞ্জিনিয়ার আছেন, সেটা দেখানোর জন্যই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর শুরুতেই কিছু কারিগরি বিষয় নিয়ে ঝগড়াই লেগে গেল। দু-একজন জাপানি নিজেদের ভুল বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ারদের ওপর চাপাতে চেয়েছিলেন।
মাত্র ছয় মাস শেষে দেশে ফিরে আসেন তিনি। ইরাক যাওয়ার আগে পদত্যাগপত্র জমা না নিয়ে দেড় বছরের বিনা বেতনে ছুটি দিয়েছিলেন বিএসএলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল হক। সঙ্গে অতিরিক্ত দুই মাসের বেতন। তবে ইরাকে যাওয়ার আগে এক ব্যবসায়ী ভদ্রলোকের একটি বাড়ির স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করে দিয়েছিলেন। সেই ভদ্রলোক বলেছিলেন চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করতে। ১৯৮২ সালে ফিরে এসে সেই ভদ্রলোকের বাসায় গিয়ে শুনলেন ব্যবসায়ী হওয়ার গল্প। তারপর সিদ্ধান্ত নিলেন চাকরি নয়, ব্যবসাই করবেন।
ব্যবসায়ী হওয়ার গল্প
নিজের কোম্পানি দি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রতিষ্ঠা ১৯৮৩ সালের ৬ ডিসেম্বর। নির্মাণ ঠিকাদারি কোম্পানি ছিল সেটি। তবে ১৪ বছর ঠিকাদারি ব্যবসা করলেও খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না। অনেক কিছুই মানিয়ে নেওয়া কষ্টকর ছিল। তাই বিকল্প কিছু করার চিন্তা মাথাতেই ছিল। তারপরই ঢুকে গেলেন আবাসন খাতে। এর পেছনেও অবশ্য একটা গল্প আছে।
১৯৮৮ সালে দেশজুড়ে বন্যা হয়েছিল। তখন এক বস্তা সিমেন্টের দর ১০৫ টাকা থেকে বেড়ে ২৬০-২৬৫ টাকা হয়ে যায়। দ্বিগুণ হয় রডের দামও। ফলে হাতে থাকা কাজ শেষ করতে ব্যবসায়ের মূলধন শেষ হয়ে যায়। তখন সিদ্ধান্ত নেন সিঙ্গাপুর চলে যাবেন, সেখানেই ব্যবসা বা চাকরি করবেন। দুই দফায় ৩৫ দিন সিঙ্গাপুরে ছিলেন তিনি। তবে হঠাৎ করে সেখানে গিয়েই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব ছিল না।
সিঙ্গাপুরে অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বললেন, ‘১৯৯১ সালে সিঙ্গাপুরে একটা হোটেলে উঠলাম। হোটেলটির মালিক সন্ধ্যায় সেখানে বসতেন। সাধারণত এখানে লম্বা সময় ধরে কেউ হোটেলে থাকেন না। আমি সাত দিনের বেশি আছি দেখে আমার পরিচয় জানতে চাইলেন। সব শুনে আমাকে পাঠালেন এক আদম ব্যবসায়ীর অফিসে। গিয়ে দেখি একটা টেবিলে এক ব্যক্তির হাতে বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট। একটা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক জানালেন, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনলে চাকরি দেবেন, কিন্তু সে জন্য তাঁকে জনপ্রতি ৩ হাজার মার্কিন ডলার দিতে হবে। আমার পক্ষে তা সম্ভব নয় বলার পর সেই হোটেলমালিক বুদ্ধি দিলেন, একটা বড় টেলিভিশন কিনে দেশে নিয়ে যেতে। তখন টেলিভিশনের পিকচার টিউব বেশ বড় জায়গাজুড়ে থাকত, আর তার চারপাশের জায়গা থাকত খালি। সেখানে নানা পণ্য ভর্তি করে দেশে এনে বিক্রি করলেই লাভ। অনেকেই কাজটি করতেন তখন। জানালাম এটাও আমার কাজ না। তখন সেই হোটেলমালিক চাকরি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।’
সেবার দেশে ফিরে এলেও ১৯৯২ সালে আবার সিঙ্গাপুর যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল আউয়াল। এবার গেলেন চাকরি করার জন্যই। একটা নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে চাকরি হয়েও গেল। বুধবার গেলেন সিঙ্গাপুর, শুক্রবার চাকরি হলো, সোমবার কাজে যোগ দেওয়ার কথা। অর্থাৎ দুই দিন সময় ছিল চিন্তাভাবনা করার। শেষ পর্যন্ত সে কাজেও যোগ দিলেন না। দেশে থাকবেন বলেই সিদ্ধান্ত নিলেন। বললেন, সেবার দেশে ফিরে আসাটা ছিল জীবনের আরেকটি সেরা সিদ্ধান্ত।
যেভাবে আবাসন খাতে
তারপর দেশে এসে তো একটা পর্যায়ে ব্যবসা পরিবর্তন করে আবাসন খাতেই ঢুকে গেলেন। এ জন্য অবশ্য তিনি সদ্য প্রয়াত স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের বড় ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। সেটা ১৯৯৫ সালের কথা। তিনিই একদিন ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করবেন কিনা। তারপরের গল্পটা এ রকম, ‘আমি বললাম আমাকে জমি কে দেবে। তখন বললেন, জায়গা একটা আছে গ্রিন রোডে।
জমির মালিক সুইডেন থাকতেন, তখন দেশে এসেছিলেন। মোবাশ্বের ভাই-ই কথা বলে আমাকে শর্তগুলো জানালেন। সেটা ছিল খুব সরল। সাড়ে ৬ কাঠা জায়গা, আর সব মিলিয়ে দিতে হবে ৪৫ লাখ টাকা। ৩০ লাখ টাকা নগদ তিন কিস্তিতে। আর একটি ফ্ল্যাট ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে অসমাপ্ত অবস্থায় হস্তান্তর করতে হবে। সেই শুরু। তবে নিজের কাছে টাকাপয়সা তেমন ছিল না। তবু কষ্ট হলেও কাজটি শেষ করেছি। এতে সাহস বেড়ে গেল। মনে হলো আর ঠিকাদারি ব্যবসা করব না, রিয়েল এস্টেটেই থাকব।
‘দ্বিতীয় প্রকল্প ছিল পল্লবীতে, সেই জমি নিজেরাই কিনে নিয়েছিলাম। তবে সেখানেও কষ্ট করতে হয়েছে। কারণ, ফ্ল্যাট বিক্রি করতে পারছিলাম না। পুরো কাঠামো দাঁড় করানোর পরেই বিশ্বাস করে গ্রাহকেরা এসেছিল। পরের প্রকল্পটি ছিল ধানমন্ডি এলাকায়, শংকরের কাছে। সেখানেও কষ্ট করতে হয়েছে।
তবে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে এরপরের এলিফ্যান্ট রোডের একটি প্রকল্প। এখানে কিন্তু একটা ভালো গল্প আছে। চাওয়া-পাওয়ার গরমিলের কারণে জমির মালিকের সঙ্গে প্রকল্প নিয়ে আলোচনা সফল হচ্ছিল না। একসময় বাতিলই হয়ে গেল। কিন্তু একদিন সকাল বেলা ফজরের নামাজের পরে জমির মালিকের স্বামী ভদ্রলোক ফোন করে বাসার ঠিকানা চাইলেন। তিনি বাসায় এসে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে বললেন কাজটা যাতে শুরু করি। সেই প্রকল্পের কাজের শুরুতেই কোম্পানির ভাগের ফ্ল্যাটগুলো বিক্রি হয়ে গেলে অতিরিক্ত কিছু অর্থ হাতে আসে। এই অর্থ দিয়ে পল্লবী ও ধানমন্ডির প্রকল্প দুটি দ্রুত শেষ করে ক্রেতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
সবশেষে ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল আউয়াল বললেন, ‘রানা কনস্ট্রাকশনে যোগ দেওয়ার কয়েক দিন পর পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ হোসেন আমাকে প্রশ্ন করলেন- আমাদের পরিচয় কি, আমরা কি ইঞ্জিনিয়ার নাকি ব্যবসায়ী? উত্তরটা উনিই দিলেন - আমরা প্রথমে ইঞ্জিনিয়ার, তার পর ব্যবসায়ী। আমরা ব্যবসা করব আমাদের বিদ্যা দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, মেধা দিয়ে, চুরি করে নয়; যা আমি আজও ধারণ করি এবং এসইএল এর সর্বস্তরে তা প্রয়োগ করি।’