ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ই–অরেঞ্জকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল থেকে এ নোটিশ দেওয়া হয়। এতে সাত দিন সময় দিয়ে ই–অরেঞ্জকে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছে।
বলা হয়েছে, গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত সম্পদ, দায় ও চলতি মূলধনের পরিমাণ কত, তা জানাতে হবে। সরবরাহকারীদের কাছে বকেয়া থাকলে তার পরিমাণ কত, তা–ও জানাতে হবে।
একই সময় পর্যন্ত টাকা নিয়েও পণ্য দেওয়া হয়নি, এমন গ্রাহক কত এবং গ্রাহকের কাছ থেকে কী পরিমাণ অর্থ নেওয়া হয়েছে, তার পরিমাণ জানাতে হবে।
নোটিশে ই–অরেঞ্জের স্বত্বাধিকারী উল্লেখ করা হয়েছে দুজনকে। তাঁরা হলেন সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আকতার।
এদিকে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক মামলা করেন আজ মঙ্গলবার। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান আজই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন না দিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গ্রাহকেরা গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দিয়েছেন, যেসব পণ্য একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই-অরেঞ্জ কোম্পানির ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভুক্তভোগীদের পণ্য সরবরাহ না করে তারা প্রতারণা করে যাচ্ছে। এই ভুক্তভোগীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ। ভুক্তভোগীরা ই-অরেঞ্জের অফিসে গিয়ে পণ্য সরবরাহ চাইলে জানানো হয়, কিছুদিনের মধ্যে পণ্যগুলো সরবরাহ করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত পণ্য সরবরাহ করা হয়নি।
গতকাল সোমবার রাতে ঢাকার গুলশানে ই-অরেঞ্জের কার্যালয়ের সামনে এবং ই–অরেঞ্জের সাবেক পণ্যদূত মাশরাফি বিন মুর্তজার মিরপুরের বাসার সামনে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগীরা। সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ই–অরেঞ্জের ভুক্তভোগী বাইক ও ভাউচারের ক্রেতারা র্যালি ও মানববন্ধন করেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষের বিদেশযাত্রা স্থগিত এবং ভুক্তভোগীদের পণ্য বা সমপরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা।